Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

কানে বাঙালি সাজে বর্ষা

বিনোদন ডেস্ক

ফ্রান্সের কান শহরে চলমান ৭৮তম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছেন বাংলাদেশের অভিনেত্রী বর্ষা। প্রথমদিন থেকেই সেখানে বাঙালি নারীর সাজে ধরা দিয়েছেন তিনি।

বর্ষার এই লুক মুগ্ধতা ছড়িয়েছে এই আয়োজনে। বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এক ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে বর্ষা বলেছেন, তার এই বাঙালি নারীর সাজ কেবল দেশের মানুষের কাছেই নয় ভিনদেশিদের কাছেও প্রশংসা পেয়েছে।

নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শাড়ি পরিহিত কয়েকটি ছবি প্রকাশ প্রকাশ করে বর্ষা লিখেছেন, চেয়েছিলাম একটা সাধারণ বাঙালি মেয়ের সাজে নিজেকে তুলে ধরতে। আলহামদুলিল্লাহ, আমি তাই করেছি। ভিনদেশের মানুষের থেকেও অনেক সম্মান পেয়েছি। যা আমার জন্য খুবই আনন্দের।

বর্ষা বলেন, চেয়েছিলাম আমার নিজ দেশের মানুষ ভালো বললেই সব পাওয়া হয়ে যাবে। অন‍্য দেশের মানুষের কথা চিন্তা করে কাপড় পরিধান করিনি। আলহামদুলিল্লাহ, আপনারা সবাই আমাকে এতটাই সুন্দর করে তুলেছেন যে আমি চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকব, ইনশাআল্লাহ।

সবশেষ অভিনেত্রী লেখেন, ‘আমি সবসময় মন থেকে চাই, সব মেয়ে ভালো থাকুক যার যার জায়গা থেকে। আর হ‍্যা, আমার জুয়েলারি ছিলো আমার জন্য বিশেষ এক উপহার। আমার ৫ বছরের বিয়ের শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন আমার স্বামী।’

এদিকে কান উৎসবের দ্বিতীয় দিনে ‘ওয়ার্ল্ড উইমেন কানস অ্যাজেন্ডা ডিসকাশন’ পর্বে বক্তব্য রাখেন বর্ষা। ‘নিউ এরা অব আইডেন্টিটি অ্যান্ড ইমপ্যাক্ট ইন গ্লোবাল সিনেমা’ শীর্ষক এই আলোচনা পর্বে তিনি নারীর ক্ষমতায়ন, চলচ্চিত্রের প্রভাব এবং সমাজে নারীর অবস্থান নিয়ে নিজের ভাবনার কথা জানিয়েছেন।

বর্ষা তার বক্তব্যের শুরুতেই নিজের পরিচয় দেন একজন বাংলাদেশি হিসেবে। বলেন, তিনি শুধু অভিনেত্রীই নন, একজন ব্যবসায়ীও। কাজ করেন সমাজ উন্নয়ন ও বিশেষত নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে।

তিনি বলেন, ‘অভিনয়ের বাইরে আমার ব্যবসায়ী পরিচয়ে সবসময় নারীদের যুক্ত করার চেষ্টা করি। তাদের নেতৃত্ব, দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার জায়গায় কাজ করি। একজন স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নারীর উন্নয়নে আন্তর্জাতিক এই প্ল্যাটফর্মে অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি গর্বিত।’

সিনেমার শক্তি নিয়ে বর্ষা বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে সিনেমা এমন এক মাধ্যম, যার মাধ্যমে মানুষের চিন্তা ও মননে পরিবর্তন আনা সম্ভব। বিশেষ করে বাস্তবভিত্তিক গল্পগুলো প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, বিশেষ করে নারীদের অধিকার ও আত্মপরিচয় তুলে ধরতে পারে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রান্তিক নারীদের গল্পগুলো বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরার দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে। এতে করে তাদের প্রতি বিশ্বজনীন সহমর্মিতা ও সম্মান সৃষ্টি হয়।’

খুলনা গেজেট/এএজে




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন