তেরখাদা উপজেলার হাট-বাজার গুলোতে উঠতে শুরু করেছে মৌসুমি ফল লিচু। তবে এইসব লিচুর বেশিরভাগই অপরিপক্ব। কিন্তু বছরের নতুন ফল হওয়ায় সবার দৃষ্টি লিচুর দিকেই। প্রতি ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৭০ টাকা থেকে ৩০০ টাকায়।
সরেজমিনে উপজেলা সদরের কাটেঙ্গা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, হাটে প্রবেশের মুখেই দোকানে ডালিতে সাজিয়ে রাখা হয়েছে লিচু। আর সেই লিচু কিনতে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কথা হয় লিচুর দোকানি মিজানুর শেখের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রতিবছর নতুন যে কোনো ফল উঠলে বাজারে সবার আগে আনার চেষ্টা করি। কারণ দামটা যেমন ভালো থাকে, বিক্রিও হয় তাড়াতাড়ি। এতে করে লোকসানের পরিমাণ খুবই কম থাকে।
তিনি আরও বলেন, ‘এবারও বছরের প্রথম বাজারে বিভিন্ন জাতের লিচু এনেছি। এইসব লিচু জয়পুরহাট, পাবনা ও ঈশ্বরদী এলাকার বাগান থেকে আনা হয়েছে।
লিচু কিনতে আসা মাসুদ শেখ বলেন, বাজারে এসেছিলাম ফল কিনতে। বিভিন্ন ফল কেনার পর চোখে পড়ল লিচু।খেয়ে দেখলাম বেশ টক। ভেতরে দানা অনেকটাই কম। তারপরও শখ করে কিনলাম।ছেলে -মেয়েরা খাবে; খুশি হবে।
আরেক দোকানি কুবাদ ফকির বলেন, ‘লিচু বাজারে আসতো আরও কয়েকদিন পরে। তবে অতিরিক্ত দাবদাহ ও বিভিন্ন জায়গায় কালবৈশাখী ঝড় হওয়ার কারণে বাগানের মালিকরা লিচু আগাম বিক্রি করছে। আমরা খুলনা ও গোপালগঞ্জের আড়ত থেকে ১০০ লিচু ২২০ টাকা দরে কেনা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘বাজারে বিক্রি করছি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে। একশ লিচু বিক্রি করলে খরচ বাদে ৪০-৫০ টাকা লাভ হয়। অনেক লিচু এনেছি। মুহূর্তেই লিচুগুলো বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ক্রেতা ফয়সাল বলেন, বাজারে প্রতিবছর অপরিপক্ব যে কোনো ফল বেশি বিক্রি হয়। অতিরিক্ত লাভের আশায় বাগানিরা এ সব ফল বিক্রি করে দেয়। প্রশাসন নজর রাখলে ফলগুলো পরিপক্ব হয়ে বাজারে আসতো। তাহলে সবাই খেতে পারতো।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শিউলি মজুমদার বলেন, পরিপক্ব লিচু বাজারে আসতে আরও কয়েকদিন সময় লাগবে। বাজারে যা বিক্রি হচ্ছে দানা কম। খেতেও অনেক টক।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার মোহাম্মদ শাকির হোসেন বলছেন, অপরিপক্ব লিচু খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে।পেটে ব্যথা, মাথাব্যথা এবং অন্যান্য উপসর্গের কারণ হতে পারে।
খুলনা গেজেট/এএজে