কঠিন পরিস্থিতিতে এই সময় দেশের প্রতিটি নাগরিকের একজোট থাকা প্রয়োজন। সর্বদল বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এই বার্তাই বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের কাছে উপস্থাপন করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্যেরা। একাধিক সংবাদমাধ্যম সরকারি সূত্রকে উদ্ধৃত করে এমনটাই জানিয়েছে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মোট ন’টি জায়গায় ‘হামলা’ চালায় ভারত। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় একাধিক স্থাপনা। এই সামরিক অভিযানের নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এই অভিযানের খুঁটিনাটি বিরোধী দলগুলির প্রতিনিধিদের ব্যাখ্যা করা হয় বলে সরকারি ওই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে হওয়া সর্বদল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী। সভাপতিত্ব করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ-সহ মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যেরা।
কংগ্রেসের তরফে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খড়্গে এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তৃণমূলের তরফে বৈঠকে যোগ দেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। তা ছাড়া ডিএমকের তরফে উপস্থিত ছিলেন টিআর বালু, আপের তরফে সঞ্জয় সিংহ, উদ্ধবসেনার তরফে সঞ্জয় রাউত, এনসিপি (এসপি)-র তরফে সুপ্রিয়া সুলে।
কেন্দ্রের একটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সর্বদল বৈঠকে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মাধ্যমে কীভাবে পাকিস্তানের কথিত জঙ্গিঘাঁটিগুলিতে প্রত্যাঘাত করা হয়েছে, তা তুলে ধরা হয়েছে। এই সামরিক অভিযানের সম্ভাব্য প্রভাব, যে কোনও পাক হামলার জবাবে সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে ওই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, কেন্দ্রের তরফে বৈঠকে উপস্থিত সকলকে সেনার সাহসিকতার বিষয়টি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এনএম