জুলাই বিপ্লবের পর ভারতীয় মিডিয়া আর পলাতক আওয়ামী লীগের পাণ্ডারা একাট্টা হয়েছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপতথ্য ছড়ানোর ক্ষেত্রে। আগামী ডিসেম্বর অথবা জুনের মধ্যে যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই অপশক্তি আরো বেশি সক্রিয় হচ্ছে।
তাদের হাতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার অবৈধ টাকা মজুত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শুক্রবার (২ মে) সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে জুলাই বিপ্লব স্মৃতি হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, আগস্টের পর অন্তর্বর্তী সরকারকে সবচেয়ে বেশি মোকাবিলা করতে হচ্ছে ছড়িয়ে পড়া অপতথ্যকে। এই সংকট মোকাবিলা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। না লে আমাদের গণতন্ত্র ও স্বাধীনতাকে অস্বীকার করা হবে।
পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলের গত ১৬ বছরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাংবাদিকতা পেশা। জঙ্গী নাটক, গুম-খুনের মতো অপরাধকে বৈধতা দিতে একের পর এক বয়ান তৈরি করেছে সাংবাদিকরা। তাই এই ১৬ বছরের সাংবাদিকতার ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করতে সরকার জাতিসংঘের সহায়তা নেবে। জুলাই গণহত্যাকে তারা যেভাবে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টের মাধ্যমে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে ঠিক একইভাবে স্বাধীন একটি প্যানেলের মাধ্যমে পতিত সরকার আমলের সাংবাদিকতার ত্রুটিগুলো খুঁজে বের করে প্রতিবেদন প্রকাশ করার অনুরোধ করবে সরকার। কারণ এই বিষয়গুলো বিশ্ববাসীর সামনে তুলে না ধরলে জুলাই বিপ্লবের প্রেক্ষাপট মানুষ ভুলে যাবে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএমইউজের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, ইঞ্জিনিয়ার সেলিম মোহাম্মদ জানে আলম প্রমুখ।
খুলনা গেজেট/এমএনএস