ইসরায়েলের জেরুজালেমে লাগা দাবানল কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। ফলে একরের পর একর বনাঞ্চল পুড়েই যাচ্ছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর দাবানলের তীব্রতা আরও ছড়িয়ে পড়ে। খবর টাইমস অব ইসরায়েল।
ইসরায়েলের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, ফায়ার ফাইটারের ১৬৩ জনের একটি দল স্থল থেকে এবং আকাশ থেকে ১২টি বিমান আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে। কিন্ত তাতে তেমন কোনো কাজ হয়নি, বরং জেরুজালেমের একাধিক স্থানে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশেষ করে- লাটরান, নেভে শালম এবং এসটাওলে। এ ছাড়াও মেভো হারোন, বার্মা রোডের বেইত মেইর, মেসিলাত জিওন এবং শাহার গাহাই গ্যাস স্টেশনের কাছেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছে।
দাবানলে ফলে ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছেন। তবে তাদের কারো অবস্থা গুরুতর নয়। দাবানলের ফলে ২ হাজার ৯০০ এক এলাকা পুড়ে গেছে।
সরিয়ে নেয়া এস্টাওল সম্প্রদায়ের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সন্ধ্যায় জেরুজালেম জেলার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিসের কমান্ডার শমুলিক ফ্রিডম্যান সতর্ক করে বলেছেন, জেরুজালেম পাহাড়ে ছড়িয়ে পড়া আগুন সম্ভবত ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হতে পারে। আগুন কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে নয়টার দিকে বেইত শেমেশের কাছে মেসিলাত সিয়োন এলাকার নিকটবর্তী স্থান থেকে দাবানল শুরু হয় এবং প্রবল বাতাসের কারণে দ্রুত এটি পশ্চিম দিকে ছড়িয়ে পড়ে, পরে দিক পরিবর্তন করে পূর্বমুখী হয়ে যায়।
শমুলিক বলেন, আগুনের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। কারণ বাতাসের গতিবেগ বেড়েই চলছে। যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১০০ কিলোমিটার।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, কী কারণে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে সে বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। আগুণের কারণ খুঁজতে আমরা এখনও কাজ শুরু করিনি।
তবে ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংস্থা শিন বেত জানিয়েছে, কিছু এলাকায় ইচ্ছাকৃতভাবে আগুন লাগানো হতে পারে। যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।
খুলনা গেজেট/এনএম