জম্মু-কাশ্মীরের গুরুত্বপূর্ণ ভ্রমণ এলাকা পেহেলগামে সশস্ত্র হামলার সময় কোনো ভারতীয় সেনা কিংবা নিরাপত্তা বাহিনী উপস্থিত ছিল না।
ভয়াবহ হামলার পর ভারতে সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের আহ্বানে বৈঠকে গুরুতর প্রশ্ন তোলে বিরোধী দলগুলো।
সর্বদলীয় বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল বৈসরনে সেনাবাহিনীর অনুপস্থিতি। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী প্রথমে সেনা বা নিরাপত্তা না থাকার প্রশ্নটি উত্থাপন করেন। এরপর রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংসহ আরও অনেকে তার প্রশ্নে সহমত পোষণ করেন এবং তীব্র সমালোচনা করেন।
যদিও সেনা না থাকার কারণ হিসেবে বিজেপি সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, স্থানীয় প্রশাসন পর্যটকদের ‘আগাম ভ্রমণ’ শুরু হওয়ার বিষয়ে কিছুই জানত না।
এ সময় বিরোধীদের আরেকটি প্রশ্ন তোলে, ভারতের যদি পানি সংরক্ষণের ক্ষমতা না থাকে তাহলে কেন্দ্র সরকার কেন সিন্ধু চুক্তি স্থগিত করল?
এর জবাবে বিজেপি সরকার ব্যাখ্যা করে, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সরকারের ইচ্ছা প্রকাশের জন্য চুক্তিটি স্থগিত করা হয়। একটি শক্তিশালী বার্তা দেওয়ার জন্য এটি করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সরকারের অবস্থান কী হতে চলেছে, তাও বলে দেয়।
খুলনা গেজেট/এএজে