খুলনা, বাংলাদেশ | ৩রা বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ১৬ই এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আ’লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নবী নেওয়াজ পাঁচ দিনের রিমান্ডে
  নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় দুই বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের সংঘর্ষে দুই হেলপার নিহত
সাইফ আলি খানের ওপর হামলা

তদন্তে নতুন মোড়, সব আঙুলের ছাপ মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে

বিনোদন ডেস্ক

বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খানের ওপর হামলার ঘটনায় শরিফুল ইসলামকেই মূল অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে বলেও দাবি করেছে তদন্ত কমিটি। এমনকি ফরেন্সিক রিপোর্টও নাকি শরিফুলের বিরুদ্ধেই গিয়েছে।

এরপরেও আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন শরিফুলের আইনজীবী। জবাবে একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করার আবেদন করে মুম্বাই পুলিশ। হাজার পাতার চার্জশিটও পেশ করে।

তবে হঠাৎ করেই পটপরিবর্তন। অভিনেতার বাড়ি থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলছে না শরিফুলের আঙুলের ছাপ!

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের ২০টি নমুনা সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ১৯টি নমুনা অভিযুক্তের সঙ্গে মেলেনি। খবর প্রকাশ্যে আসতেই নয়া গুঞ্জন, তাহলে কি শরিফুল আদৌ সাইফকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত?

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, অভিনেতার বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, দরজার হাতলসহ একাধিক জায়গা থেকে আঙুলের যে ছাপ পাওয়া গেছে তার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। এভাবে ২০টি আঙুলের ছাপের মধ্যে ১৯টি-ই নাকি মেলেনি! কেবল আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপের সঙ্গে মিলেছে অভিযুক্তের আঙুলের ছাপ।

পুলিশের দাবি, বাকি জায়গার হাতলে অভিযুক্তের পাশাপাশি অন্যরাও হাত রেখেছিলেন। অভিযুক্তের আঙুলের ছাপের উপরেই পড়েছে সেই ছাপগুলো। ফলে, মুছে গেছে শরিফুলের আঙুলের ছাপ।

তাদের দাবি, এই ধরনের অমিল অনেক তদন্তেই ঘটে থাকে। সাধারণত, হাজারজনের মধ্যে একজনের ছাপ মিলে যায়। তবে আটতলার ঘর থেকে পাওয়া আঙুলের ছাপই প্রমাণ করে দিচ্ছে, আততায়ী অভিনেতার বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন।

মুম্বাই পুলিশের চার্জশিটে আরও দাবি করা হয়, বাংলাদেশ থেকে আগত শরিফুল তার পরিবারের কাছে অবৈধভাবে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে টাকা পাঠাতেন। চার্জশিটে পুলিশ এ কথা উল্লেখ করে জানিয়েছে, শরিফুল তার সহকারী অমিত পাণ্ড্যর মাধ্যমে আবদুল্লাহ আলিমের কাছে টাকা পাঠাতেন। আলিম তার বোনের স্বামী ছিলেন।

চার্জশিটে আরও জানানো হয়, এভাবে অনেকদিন ধরে বেঙ্গালুরুর একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে ভারতীয় মুদ্রা দেশ থেকে বাইরে পাঠানো হচ্ছিল।

খুলনা গেজেট/জেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!