খুলনা নগরীর টুটপাড়া দিলখোলা রোডের অধিবাসী। পিতা মৃত খন্দকার হায়দার আলী ও মাতা খালেদা খাতুন । স্নাতক ডিগ্রীধারী খন্দকার খায়রুল কবির লনীর জন্ম ১৯৫৭সালের ২৪ অক্টোবর। ১৯৭১ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। পাঁচ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন বড়। বাবা এসডিও অফিসের পেশকার ছিলেন।
তার বাড়ির ঠিক পূর্বপাশ্বে কুখ্যাত রাজাকার বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইউসুফের বাড়ি। টুটপাড়ার ইসহাক রাজাকারের অবস্থান খালেক মেম্বারের বাড়ির সন্নিকটে। তিনি তাদের কার্যকলাপ পছন্দ করতেন না। যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য একদিন তিনি ভারতে চলে যান। বশিরহাট বিএলএফ ক্যাম্পে টুটপাড়ার শেখ আব্দুস সালাম ও শেখ আব্দুস সাত্তার এর সাথে দেখা হয়। তারা তাকে প্রশিক্ষণার্থী বিএলএফ তালিকাভুক্ত করে টেট্টা ক্যাম্পের অবস্থানের পরামর্শ দেন। সেখানে কয়েকদিন অবস্থানের পরে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্ট হয়ে দমদম বিমান বন্দরে পৌঁছান। সেখান থেকে সেনা ট্রাকযোগে টা-ুয়া ক্যাম্পে প্রশিক্ষণের জন্য উপস্থিত হন। প্রশিক্ষণ শেষে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টে ফিরে আসেন।
খুলনা জেলা বিএলএফ’র প্রধান শেখ কামরুজ্জামান টুকুর নেতৃত্বে দেবহাটা সীমান্ত পার হয়ে পাইকগাছা পাতড়াবুনিয়া বিএলএফ সদর দপ্তরে পৌঁছান। সেখান থেকে লিডার বিনয় সরকারের নেতৃত্বে বটিয়াঘাটার বারোআড়িয়া রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণে অংশগ্রহণ করেন। তার সহযোদ্ধারা ছিলেন তপন কুমার বিশ্বাস, নুরুল ইসলাম খোকন, শহীদ আব্দুল আজিজ প্রমুখ।
কপিলমুনি যুদ্ধ ও গল্লামারীস্থ রেডিও সেন্টার দখলের যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ১৯৭২ সালে অস্ত্র জমা দিয়ে তিনি শিক্ষা জীবনে ফিরে যান। শিক্ষা শেষে এনএসআই-তে চাকরি শেষে অবসর নেন।
মৃত্যু ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদান স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
খুলনা গেজেট/এএজে