নিজের স্বার্থেই ভারতকে হাসিনার লাগাম টেনে ধরা উচিত বলে মন্তব্য করা হয়েছে দেশটির গণমাধ্যমে। শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য প্রিন্টের এক কলামে এই মন্তব্য করা হয়েছে।
মন্তব্য প্রতিবেদনে আহমেদ হোসেন লেখেন, নয়া দিল্লিকে অবশ্যই তার সকল অহংকার নিজেকেই গ্রাস করতে হবে এবং বুঝতে হবে যে- তারা এমন একটি দেশের স্বৈরশাসককে নির্লজ্জভাবে সমর্থন করেছে যার সাথে বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম স্থল সীমান্ত রয়েছে তাদের। শুধু প্রয়োজন সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর মতো বাস্তববাদীতা। এমনকি অতীতে যখন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের অবনতি ঘটেছিল তখনও তিনি বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিজের উদ্যোগে তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের প্রস্তাব দিয়েছিলেন তিনি।
তিনি আরো লেখেন, কয়েকদিন আগে, হাসিনা তার দলের সদস্যদের নির্দেশ দিয়েছিলেন- যারা তার বিরোধিতা করেন তাদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন ধরিয়ে দিতে। একটি অডিও ক্লিপে তাকে বলতে শোনা যায়, “শুধু তাদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিন।” এটা দিবালোকের মতো পরিষ্কার যে- হাসিনা কোনও দালাই লামা নন যে এটি বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নৈতিক সংকটে ফেলবে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবেশী অঞ্চলে ভারতের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন এবং আওয়ামী লীগ হচ্ছে বাংলাদেশে ভারতের একমাত্র মিত্র। কিন্তু হাসিনাকে বাংলাদেশে পুনর্বাসন করা প্রায় অসম্ভব কাজ।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা মুজিবকে গুম, অপশাসন, দুঃশাসন ও ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রতীকে পরিণত করেছেন। তার বাড়ি, যাকে একসময় বাংলাদেশিদের গর্বের স্মারক হিসেবে দেখা হতো, এখন হাসিনার সমার্থক হয়ে উঠে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পালিয়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি সেখানেই অবস্থান করছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে