ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করায়, বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানিতে ধ্বস নামতে শুরু করেছে।অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহার করা না হলে ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে আমদানিকারকরা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকাল থেকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ফল আমদানি বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে আমদানিকারকরা।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে ফল আমদানি কমে অর্ধেকেরও নীচে নেমে এসেছে। ফলে বড় ধরনের রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে শুধুমাত্র ফল আমদানি থেকে প্রতিদিন ২৫ কোটি টাকার রাজস্ব আয় হতো। সেটি বর্তমানে এসে দাড়িয়েছে ৫ কোটিতে।
বেনাপোল বন্দর দিয়ে রাজস্ব আয়ের একটি বড় অংশ আসে ফল আমদানির খাত থেকে। আর মাত্র কয়েকদিন আছে পবিত্র রমজান। দেশে রমজান মাসে ফলের চাহিদা একটু বেশি। রমজানের আগে ফলের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক কর আরোপ করায় ব্যবসায়ীরা ফল আমদানি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। এই বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৫০ থেকে ৭০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের ফল আমদানি হতো। সেটি বর্তমানে ২০ থেকে ২২ ট্রাকে এসে দাড়িয়েছে।
হঠাৎ করে গতমাসের ৯ জানুয়ারি আমদানি করা তাজা ফলের ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করে সরকার। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাজারে আমদানিকৃত ফলের সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে দাম বেড়েছে সকল প্রকার ফলের। যা সাধারন ক্রেতাদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
উচ্চ শুল্কের কারণে ব্যবসা আগের মতো ফল আমদানি করতে পারছে না। আসন্ন রমজানে ফল আমদানির ওপর অতিরিক্ত শুল্ককর প্রত্যাহারের জোর দাবি জানিয়েছেন সাধারন ক্রেতারা।
সাধারণ সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, ফল আমদানিতে সরকার হঠাৎ করে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি করেছে। যার প্রভাব পড়েছে বেনাপোল সহ দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দরের উপরে। যার কারনে আমদানি একদম শুন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এর ফলশ্রুতিতে ঢাকার বাদামতলীর ফল ব্যবসায়ী এ্যাসোসিয়েশন আজ থেকে ফল আমদানি বন্ধের আল্টিমেটাম দিয়েছে।
ফল ক্রেতা আতাউর রহমান বলেন, সরকার হঠাৎ করে ফল আমদানিতে অতিরিক্ত শুল্কারোপ করেছে। সে জন্য বাজারে ফলের দাম বেড়ে গিয়েছে। আসছে রমজান মাসে ফলের দাম আরও বেড়ে যাবে। দাম এভাবে বাড়তে থাকলে গরিব মানুষেরা ফল খেতে পারবে বলে মনে হয়না। ফলের বাজারে বড় ধরনের সংকট ও তৈরী হতে পারে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের যুগ্ন কমিশনার সুশান্ত পাল জানান, গত কয়েক মাস ধরে ফলের আমদানি কমে গেছে। এর উপর সরকার আবার অতিরিক্ত শুল্কারোপ করেছে। আগে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ৫০-৬০ ট্রাক ফল আমদানি হতো। মাত্র কয়েকদিনে তা অর্ধেকে নেমে এসেছে। এভাবে চললে আগামী দিনে দাম বাড়ার পাশাপাশি ফলের সংকট দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এএজে