খুলনা বিভাগীয় গণগ্রন্থাগার। এ প্রতিষ্ঠানের আঙিনা জুড়ে বই মেলা। দুপুর থেকে মধ্যরাত অবধি চলে বই বিকিকিনি। এবারের বই মেলার বড় আকর্ষণ গ্রন্থাগারের দেয়ালে বাংলার ঐতিহ্যের গ্রাফিতি। এতে স্থান পেয়েছে অবিরাম বাংলার মুখ। এটি রুপ দিয়েছেন ঢাকা আর্ট কলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় তরুণরা। বাংলার রুপ, রস ও মুখের এ গ্রাফিতির দর্শক সব বয়সী নারী-পুরুষ।
প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও মেলার আয়োজন। জেলা প্রশাসন এর আয়োজক। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরতে তরুণদের গ্রাফিতির আয়োজন। ২৬ জানুয়ারি থেকে দেয়ালে রঙের তুলি হাতে তুলে নেন ঢাকা আর্ট কলেজের শিক্ষার্থী এইচ আর অন্তু, স্থানীয় শিক্ষার্থী নাফিজা, কনিজল, সোহাগ, আরমান ও অনিক হাওলাদার।
বই মেলায় দেয়ালে শোভা পেয়েছে পট চিত্র, মায়ের কাছে শিশুর প্রথম হাতে খড়ি, হারিয়ে যাওয়া গ্রাম বাংলার পাঠশালা, ঢেঁকিতে ধান ভানার, ভাষা আন্দোলন, ১৯৭২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি প্রথম বই মেলার বটতলার ছবি, চব্বিশের এর গণ-অভ্যুত্থানের ছাত্রীদের ওপর নির্যাতনের দৃশ্য, ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার শিববাড়ি মোড়ে বিজয় উল্লাস, বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, সুন্দরবন ও নারীদের ওপর শ্লীলতাহানির দৃশ্য।
গ্রাফিতি দেখতে আসেন সরকারী মহিলা পলিটেকনিকের শিক্ষার্থী এলমা নুসরাত তুর্জি, নুসরাত জাহান ও শতাব্দী মাদ্রী। তাদের অভিমত গ্রাফিতিতে বাংলার মুখ ফুটে উঠেছে। তরুণদের দেশপ্রেমের প্রতিচ্ছবি। গ্রাফিতির আয়োজকদের শ্লোগান কথা ‘বলার স্বাধীনতা’। এর সাথে সম্পূর্ণ একমত। নারীর চলা ফেরার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গ্রাফিতির ভাষা নতুন প্রজন্মকে আকর্ষণ করেছে। তুলিতে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ইতিহাসের সাক্ষী। এ গ্রাফিতি আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার।
খুলনা গেজেট/এএজে