যৌন কেলেঙ্কারির তথ্য গোপন করতে একজন পর্ন তারকাকে ঘুষ প্রদানের মামলায় যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্পকে গতকাল শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) শর্তহীন মুক্তির দণ্ড দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত। অপরাধী হিসেবে হোয়াইট হাউসে প্রবেশের অপবাদ যাতে না হয়, তার সবরকম চেষ্টার পরও ট্রাম্পকে দোষী বিবেচনা করে এই রায় দেওয়া হলো। খবর এএফপির।
নিউইয়র্ক আদালতের বিচারক জুয়ান মেরচান তার সিদ্ধান্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জুরিদের দেওয়া দোষী প্রমাণিত হওয়ার রায়কে তুলে ধরেন। তবে এক্ষেত্রে তিনি কোনো কারাদণ্ড বা জরিমানার আদেশ দেননি। তিনি নিশ্চিত করেন, ট্রাম্প অপরাধ করেছেন এবং কুখ্যাতি নিয়েই তিনি এ মাসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
নিজের ব্যবসায়িক রেকর্ডপত্রে ৩৪টি মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে ট্রাম্পকে ২০২৪ সালের মে মাসে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং এই অভিযোগে তার কারাদণ্ড ভোগ করার শাস্তি হতে পারত। এ প্রসঙ্গে বিচারক মেরচান বলেন, ‘এর আগে এই আদালত এ ধরনের অনন্য ও উল্লেখযোগ্য পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়নি।’
মেরচান আরও বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ পদের প্রতি হস্তক্ষেপ না করে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার রায়ের অনুমতি দিতে আইনানুগ শাস্তি থেকে নিঃশর্ত অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে।’
এই রায় প্রদানের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প ভার্চুয়ালি উস্থিত ছিলেন। এ সময় ম্যানহাটনে আদালতের কক্ষ আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভিড়ে পরিপূর্ণ ছিল।
এদিকে, রায় প্রকাশের আগে এক প্রতিক্রিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘এটা খুবই ভয়ানক অভিজ্ঞতা। আমি মনে করি, এটা নিউইয়র্ক ও নিউইয়র্কের আদালতের জন্য জন্য একটি বিরাট বিপত্তি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা আমার সুনামকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, চেষ্টা করা হয়েছে যাতে আমি নির্বাচনে হেরে যাই, তবে তা কোনো কাজে আসেনি।’
আদালতে যখন রায় ঘোষণা চলছিল, সে সময় টেলিভিশনের পর্দায় ট্রাম্পকে বেশ অধৈর্যভাবে বসে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার পেছনে সাজানো ছিল যুক্তরাষ্ট্রের দুটি পতাকা।
খুলনা গেজেট/এনএম