খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্ত তৌহিদী জনতা রুখে দেবে : মুফতী ফয়জুল করীম

গেজেট ডেস্ক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের চক্রান্ত তৌহিদী জনতা রুখে দেবে। রাষ্ট্রের টাকা খরচ করে মূর্তি স্থাপনের অপিরণামদর্শি সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসতে হবে। যে দেশে লাখ লাখ মানুষ অনাহারে, অর্ধাহারে, বিনা চিকিৎসায় মারা যায়, সেদেশে রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা খরচে মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত সুফল বয়ে আনবে না। অবিলম্বে মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল করুন।

শুক্রবার (১৩ নভেম্বর) বাদ জুমা রাজধানীর ধোলাইপাড়ে ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপনের পরিবর্তে বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর রূহের মাগফিরাত কামনায় আল্লাহর ৯৯ নাম অঙ্কিত স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবিতে তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদ আয়োজিত বিশাল জনসমূদ্রে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, দাবি আদায়ের জন্য রক্ত দেয়ার প্রয়োজন হলে তৌহিদী জনতা জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত। আমরা সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে দাবি জানাচ্ছি। মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তৌহিদী জনতার আন্দোলন চলবে। সরকার যদি ভাস্কর্যের নামে মূর্তি স্থাপন থেকে সরে না আসে, তাহলে কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো। ভাস্কর্য স্থাপন না করে কোরআন খচিত স্তম্ভ, মিনার খচিত স্তম্ভ, আল্লাহর নিরানব্বই নাম সম্বলিত মিনার ইত্যাদি স্থাপনের দাবি জানান বক্তারা।

গণসমাবেশ ধোলাইপাড়ে হওয়ার কথা থাকলেও প্রশাসনের বাধার কারণে ধুপখোলা মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। গণসমাবেশ একপর্যায়ে জনসমূদ্রে রূপ নেয়। বাদ জুমা সমাবেশের কথা থাকলেও সকাল থেকেই জনশ্রত ধুপখোলা মাঠের দিকে চলতে থাকে। জায়গায় জায়গায় প্রশাসনের বাধার মুখে পড়ে সমাবেশে আগত তৌহিদী জনতার মিছিল। বিভিন্ন জায়গায় সরকার দলীয় লোকজনের বাধার মুখে পড়ে তৌহিদী জনতা। এত বাধার মধ্যেও তৌহিদী জনতা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ সফল করে ধৈর্যের পরিচয় দেয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আল্লামা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল-মাদানী, নারায়ণগঞ্জ ডিআইটি জামে মসজিদের খতীব মাওলানা শাহ আব্দুল আউয়াল, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিয়াজী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, বাইতুন নূর মাদরাসার প্রিন্সিপাল মুফতী মনিরুজ্জামান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, প্রকৌশলী আশরাফুল আলম, মূফতী নূর হোসাইন নূরানী, মুফতী হাবিবুর রহমান মিসবাহ, কেএম আতিকুর রহমান, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা হাসান বিন বাশার, ছাত্রনেতা এম হাছিবুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল আজিজ, মাওলানা আব্দুল আলিম সাইফী, মুফতী আফজাল হোসাইন রাব্বানী,বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, মাওলানা গোলাম সারওয়ার ফরিদী, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মুফতী ওমর ফারুক, মুফতী মাসুম বিল্লাহ, হাজী শাহাদাত হোসাইন,মাওলানা আশরাফ আলী নূরী। গণসমাবেশ পরিচালনা করেন মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন সাকী, মুফতী মোস্তফা কামাল, মাওলানা এইচ এম সাইফুল ইসলাম।

 

খুলনা গেজেট /এমএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!