খুলনা, বাংলাদেশ | ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  সাংবাদিকদের স্বাধীনতায় এক ইঞ্চিও আটকাবে না সরকার : প্রেস সচিব

তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ চলছে, থাকবে আরও দুই দিন

গেজেট ডেস্ক

অবশেষে শীত জেঁকে বসতে শুরু করেছে। দিন ও রাতের বেশির ভাগ সময়জুড়ে ঘন কুয়াশায় দৃষ্টিসীমা আটকে যাচ্ছে। দেশের অন্তত তিনটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। শুক্রবার পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ছিল চলতি বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। ভোরে ওই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, পঞ্চগড় ছাড়াও চুয়াডাঙ্গা ও পাবনার ঈশ্বরদীতে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। আরও আটটি জেলায় শৈত্যপ্রবাহের কাছাকাছি তাপমাত্রা নেমে এসেছে। সামগ্রিকভাবে সারা দেশের তাপমাত্রা গত এক দিনে ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে।

তাপমাত্রা কমার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকার বায়ুদূষণও বেড়েছে। যথারীতি এ সময়ে ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে। মাসের বাকি সময়জুড়ে এ ধরনের আবহাওয়া এবং বায়ুদূষণ চলতে পারে বলেও বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়াল থেকে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, আজ শনিবার দেশের আরও নতুন নতুন এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ ছড়িয়ে পড়তে পারে। সামগ্রিকভাবে সারা দেশের তাপমাত্রা কিছুটা কমতে পারে। দিনভর কুয়াশা থাকতে পারে। ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে আসতে পারে। এতে শীতের অনুভূতি বেশি লাগতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষ করে দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোয় শৈত্যপ্রবাহ বেশি ছড়িয়ে পড়তে পারে। আগামী দুই দিন ওই শৈত্যপ্রবাহ চলতে পারে। তারপর তাপমাত্রা দু–তিন দিন কিছুটা বেড়ে আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। চলতি মাসের বাকি সময়জুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে তীব্র শীতের অনুভূতি থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা বলেন, হিমালয় পেরিয়ে আসা শীতল বাতাস দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে। ফলে শীতের অনুভূতি বেড়ে গেছে। আগামী দুই দিন শৈত্যপ্রবাহ চলার পর বঙ্গোপসাগর থেকে একটি বড় মেঘমালা আসতে পারে। এতে শীতের তীব্রতা কিছুটা কমতে পারে। দুই দিন শীত কম থাকার পর আবার শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে।

এদিকে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনপদগুলোতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। ঘন কুয়াশার কারণে নৌ ও সড়কপথে যান চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শীতজনিত রোগ বেড়ে গিয়ে হাসপাতালগুলোয় ভিড় বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের মধ্যে ঠান্ডা ও কাশি বেড়ে গেছে।

এদিকে বিকেল থেকে রাজধানীতে কুয়াশার সঙ্গে ধুলাবালু মিলেমিশে বেশি দূরের দৃশ্য দেখা যাচ্ছিল না। বিশ্বের বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার ভিজ্যুয়ালের আজ রাত সাড়ে আটটায় দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ঢাকার বায়ুর মান বিপজ্জনক বা হেজারডাস অবস্থায় ছিল। বিশ্বের প্রধান শহরগুলোর মধ্যে ঢাকার অবস্থা ছিল ১ নম্বরে। ঢাকার পরে ছিল চীনের হংজু শহর ও তৃতীয় অবস্থানে ছিল ভারতের রাজধানী দিল্লি।

এয়ার ভিজ্যুয়ালের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, এ ধরনের আবহাওয়ায় খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া ঠিক হবে না। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধদের ঘরের মধ্যেও সাবধানে থাকতে হবে। সম্ভব হলে মাস্ক পরে বাইরে বের হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তাপমাত্রা কমে গেলে এবং কুয়াশা বেড়ে গেলে বায়ুর মান এমনিতেই খারাপ হয়। এ সময়ে রাজধানীতে নির্মাণকাজ বেড়ে যাওয়ার কারণে ধুলাও বাড়ে। ফলে ধুলা ও ধোঁয়া মিলে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। এ ধরনের ধোঁয়াশার মধ্যে ভারী বস্তুকণা ও দূষিত পদার্থ থাকে। ফলে তা নিশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করলে নানা রোগবালাই হতে পারে।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!