৫ আগস্টের পর বিদেশে বাংলাদেশের মিশনগুলোতে রদবদলের অংশ হিসেবে আরো ২০টি দেশে রাষ্ট্রদূত পরিবর্তন করতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে ওইসব দেশে অবস্থিত মিশনগুলোর বর্তমান রাষ্ট্রদূতদের ঢাকায় ফেরার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘কূটনীতিকদের সরিয়ে আনার জন্য রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যে সুপারিশ আসছে, সেটিও সক্রিয়ভাবে বিবেচনায় রাখা হয়েছে। ডিসেম্বর মাসে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রদূত পোস্ট রিকোয়ারমেন্ট লিভ (পিআরএল)-এ চলে যাবেন। তাদের রিকল করা হয়েছে। প্রায় ২০টি দেশের মতো রাষ্ট্রদূত পরিবর্তন হচ্ছে। সেই নিয়োগের উদ্যোগও ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। এগুলোর কিছু বিষয় প্রশাসনিক, এজন্য সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়া হচ্ছে না। কিন্তু এ প্রক্রিয়া চলমান আছে।’
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে জনপ্রশাসনে বঞ্চিত কর্মকর্তাদের ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটি মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এ বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘কমিটি নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রতিবেদন দেয়ায় প্রধান উপদেষ্টা ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কমিটি সুপারিশসহ রিপোর্ট দিয়েছেন। জানিয়েছে তারা ১৫৪০ জনের মতো আবেদন পেয়েছিল, সেটা যাচাই-বাছাই করে ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ভূতাপেক্ষ সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পদোন্নতি দেয়ার সুপারিশ করেছে। সুপারিশ পর্যালোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তারা ২০০৯ থেকে ৪ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত সচিব থেকে শুরু করে উপসচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা বলেও তিনি জানান।’
এখনো প্রশাসনে বিগত সরকারের দোসর রয়ে গেছে। তাদের বিষয়ে সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে উপ-প্রেস সচিব বলেন, ‘প্রশাসনে রদবদল একটি নিয়মিত প্রক্রিয়া। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে কয়েক হাজার রদবদল হয়েছে। এটি চলমান রয়েছে। সরকার যখনই প্রয়োজন মনে করছে, সেখানে কাউকে পদোন্নতি দিচ্ছে, বদলি বা পদায়ন করছে। কারো বিরুদ্ধে আগের সরকারের সাথে কাজ করার বা সুবিধাভোগীর গুরুতর অভিযোগ আসছে। আবার প্রশাসনিক অন্যান্য কারণেও হচ্ছে।’
খুলনা গেজেট/এইচ