ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে লং মার্চ করার পরিকল্পনা করেছে বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আগরতলা অভিমুখে এই কর্মসূচি হতে পারে। ঢাকা থেকে শুরু হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে গিয়ে লং মার্চ শেষ হবে।
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও পতাকা অবমাননার প্রতিবাদে এই কর্মসূচি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
কর্মসূচির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করতে আজ নয়াপল্টনে তিন সংগঠনের বৈঠক রয়েছে।
কয়েক দিন ধরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অঙ্গদলের নেতাদের বৈঠকে এই কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে দেশটির পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক অনুষ্ঠানে রিজভী তাঁর স্ত্রীর দেওয়া ভারতীয় শাড়ি রাস্তায় ফেলে দিলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন নেতাকর্মীরা।
তারই ধারাবাহিকতায় এবার আগরতলা অভিমুখে লং মার্চ করার সিদ্ধান্ত নিল বিএনপির তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন। জানতে চাইলে যুবদল সভাপতি আব্দুল মোনায়েম বলেন, লং মার্চ কর্মসূচি নিয়ে আলোচনা চলছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের একজন নেতা বলেন, ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই পরিকল্পনা পরিবর্তন করা হয়েছে।
এখন ভারতের আগরতলার এপারে বাংলাদেশের সীমান্ত পর্যন্ত লং মার্চ করতে চান তারা। তিন সংগঠনের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বলেন, সবার ওপরে দেশ। তাই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়।
গত সপ্তাহে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও ভারতের আগ্রাসী মনোভাবের সমালোচনা করা হয়েছে। বৈঠকে নেতারা বলেন, সহকারী হাইকমিশনের ভেতর ঢুকে বাংলাদেশের পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেওয়া এবং ভাঙচুর করা ভিয়েনা কনভেনশনের সুস্পষ্ট বরখেলাপ।
আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা ও পতাকা অবমাননার পর থেকে বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ, ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছে। এর প্রতিবাদে প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে।
দলীয় সূত্র জানায়, আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে এই লং মার্চ হতে পারে। যুবদলের কেন্দ্রীয় একজন শীর্ষ নেতা জানান, ঢাকার নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে লং মার্চ শুরু করার বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। কয়েকটি পথসভা করার পর আখাউড়ায় সমাবেশ করারও পরিকল্পনা আছে।
খুলনা গেজেট/এইচ