বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর তীরে চরমোনাইর বার্ষিক মাহফিল বুধবার (২৭ নভেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে। এটি অগ্রহায়ণের মাহফিল নামে বেশি পরিচিত। বুধবার বাদ জোহর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাইয়ের উদ্বোধনী বয়ানের মাধ্যমে শুরু হবে মাহফিল।
মাহফিলের শেষ দিন শুক্রবার হওয়ায় এদিন দেশের সর্ববৃহৎ জুমার জামাত অনুষ্ঠিত হবে চরমোনাই মাদরাসা ময়দানে। বুধবার বাদ জোহর শুরু হওয়া মাহফিল ৩০ নভেম্বর সকাল ৮টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলে ৭টি মূল বয়ানের মধ্যে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ৫টি ও নায়েবে আমিরুল মুজাহিদীন মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই ২টি বয়ান করবেন।
এছাড়া চরমোনাই কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানিসহ দেশের শীর্ষস্থানীয় দরবারের হজরত পীর সাহেবগণ এবং শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম বয়ান পেশ করবেন- ইনশাআল্লাহ।
মাহফিল উপলক্ষে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ সড়ক ও নৌপথে আসতে শুরু করেছে। অগ্রহায়ণ মাহফিলের জন্য নির্ধারিত দুটি মাঠেই সামিয়ানা টানানো শেষ হয়েছে। একইসঙ্গে লাইট, মাইক ও মাহফিলের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগের টেলিফোন সংযোগ স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। লাখো মুসল্লিদের শৃংখলার জন্য স্বেচ্ছাসেবকের বিশাল টিম এবং নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করেছে।
এছাড়া মাহফিলে স্বাস্থ্যসেবার জন্য প্রস্তুত করা রয়েছে একশ শয্যাবিশিষ্ট চরমোনাই মাহফিল হাসপাতাল। এখানে দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেবেন।
প্রতি বছর বাংলা মাস হিসেব করে চরমোনাইতে অগ্রহায়ণ ও ফাল্গুন মাসে দুটি মাহফিল হয়। তবে অগ্রহায়ণ মাসের মাহফিল কিছুটা ছোট পরিসরে এবং ফাল্গুন মাসে মাহফিল হয় বৃহৎ পরিসরে।
খুলনা গেজেট/ টিএ