যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় বাংলাদেশি অভিবাসীরা লাল শিবির অর্থাৎ রিপাবলিকানদের দিকে ঝুঁকছেন। তাদের মতে, গেল চার বছরে তেলের দাম, বাড়িভাড়া আর খাবারের দাম বেড়েছে। সে তুলনায় বাড়েনি আয়।
অর্ধযুগ ধরে ফ্লোরিডায় থাকেন বাংলাদেশি নিনুন নাহার। ছোট পরিবার। তবে বাইডেন প্রশাসনের ওপর বেশ ক্ষোভ এই গৃহিনীর। তার দাবি, সব কিছুর দাম প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।
মিয়ামি শহরে প্রায় দেড় দশক ধরে ব্যবসা করছেন সোমানা মালিক। তিনিও ক্ষিপ্ত ডেমোক্রেটদের ওপর।
ফ্লোরিডায় প্রায় এক লাখ বাংলাদেশির বসবাস। তেমনই আরও একজন জে আব্দুল্লাহ। তারও দাবি, ভোট দেবেন না নীল শিবিরে। অনেকেরই আছে নতুন সরকারের কাছে নানান প্রত্যাশা। বিশেষ করে কর কাঠামোর পুনর্বিন্যাস নিয়ে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্লোরিডায় এবার মোট ভোটার প্রায় ১ কোটি ৩৮ লাখ ৩৫ হাজার। যেখানে রেজিস্টার্ড রিপাবলিকান ভোটার ৫৪ লাখ আর ডেমোক্রেট ৪৪ লাখ।
মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট হবে। বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির গদিতে আগামী চার বছর কে বসবেন, সেটাই আজ ঠিক করে দেবেন কোটি কোটি মার্কিন ভোটার। এ ছাড়া ‘বিশ্ব মোড়ল’ আমেরিকার অভ্যন্তরীণ ও পররাষ্ট্রনীতির ওপর বৈশ্বিক রাজনীতি ও অর্থনীতি অনেকটা নির্ভরশীল হওয়ায় এই নির্বাচনের দিকে চাতক পাখির মতো তীক্ষ্ণ নজর রাখছে পুরো পৃথিবীর মানুষ।
যুক্তরাষ্ট্রে মোট ২৪ কোটি ৪০ লাখ ভোট দেয়ার যোগ্য নাগরিক রয়েছেন। তাদের মধ্যে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৮ কোটি ৬০ লাখ মার্কিনি ভোট দেয়ার জন্য নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ ভোট দেয়ার বয়স হয়েছে এমন প্রতি ১০ জনের মধ্যে আটজনই নিবন্ধন করেছেন।
এ ছাড়া গত ০২ নভেম্বর পর্যন্ত সাড়ে ৭ কোটি ভোটার আগাম ভোট দিয়ে দিয়েছেন। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যকেন্দ্র থেকে এই সংখ্যা জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ রাজ্যে সরাসরি বা ডাকযোগে আগাম ভোট দেয়ার ব্যবস্থা আছে। মূলত সব ভোটারকে ভোটের আওতায় আনতে এই আগাম ভোটের ব্যবস্থা।
খুলনা গেজেট/এনএম