ভারতে যখন একের পর এক সংখ্যালঘু-দলিত নির্যাতন সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে, তখন কলকাতায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বাংলাদেশে কথিত সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে পথে নামল। মঙ্গলবার বিক্ষোভ সভার নামে তারা সুড়সুড়ি ও সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করার চেষ্টা করল, এমনটাই অভিযোগ কলকাতার সাধারণ নাগরিকদের।
তাঁদের অভিমত, যেকোনো দেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন অবশ্যই নিন্দনীয়, কিন্তু তা যে দেশে হবে সে দেশের আইনেই তা মোকাবিলা বা ব্যবস্থা নেয়া উচিত। কিন্তু কলকাতায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদ তো কার্যত: বিক্ষোভ দেখানোর নাম করে সাম্প্রদায়িক সুড়সুড়ি দিচ্ছে এবং একটি উত্তেজনাময় পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করছে। মঙ্গলবার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি মিছিল কলকাতার বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন পর্যন্ত এগিয়ে গেলে পুলিশ তাদেরকে আগেই আটকে দেয়। এদিন সংগঠনের কয়েক সদস্যের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসানের কাছে গিয়ে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এই কর্মসূচির পিছনে মদত রয়েছে বিজেপির উদ্বাস্তু সেলের এক নেতা ও কলকাতার ক্যাম্পেইন এগেনেষ্ট অ্যারটোসিটিজ অন মাইনরিটিজ ইন বাংলাদেশ (ক্যাম্ব) নামে একটি সংগঠন। আর ইন্ধন রয়েছে কলকাতার বেশ কিছু উগ্র হিন্দুত্ববাদী অঙ্গ সংগঠনের। ২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে তারা এই ধরণের কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে হিন্দু ভোটকে বিজেপির দিকে নিয়ে যেতে চাইছে বলে কলকাতার সাধারণ নাগরিকরা মনে করছে।
এদিকে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতারা বলছেন, বাংলাদেশের কুমিল্লা ও লালমনিরহাটে যেভাবে হিন্দুদের উপর নির্যাতন চালিনো হয়েছে, তা নিয়ে যদি হাসিনা সরকার কোনো প্রতিকার না করে তাহলে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে কলকাতা অচল করে দেওয়া হবে।
যদিও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চমৎকার একটি পরিবেশ রয়েছে। সাধারণ মানুষের মধ্যে কে সংখ্যালঘু, আর কে সংখ্যাগরিষ্ঠ তা নিয়ে কোন বিভাজন দৃশ্যমান নয়। বাংলাদেশ সরকার সেখানকার বিচ্ছিন্ন ঘটনাটি অবগত হওয়ার পর দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
খুলনা গেজেট/কেএম