বাংলাদেশকে বকেয়ার সব অর্থ পরিশোধে কোনো সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছে আদানি গ্রুপ। রবিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে আদানি বলেছে, ‘আদানি গ্রুপ ৭ দিনের মধ্যে ৮০০ থেকে ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের বকেয়া পরিশোধ করার জন্য কোনো দাবি করেনি। আমরা বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সঙ্গে যে কোনো সমস্যা সমাধানে পূর্ণ সহযোগিতা করছি।’
এর আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ৭ নভেম্বরের মধ্যে বকেয়া বিল শোধ না করলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেবে আদানি পাওয়ার।
টাইমস অব ইন্ডিয়া তাদের প্রতিবেদনে দাবি করে, আদানি গ্রুপ বাংলাদেশকে বকেয়া পরিশোধের জন্য ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। তারা বাংলাদেশের কাছে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার পাবে। যা বাংলাদেশি অর্থে ১০ হাজার কোটি টাকার সমান।
সংবাদমাধ্যমটি আরো জানায়, আদানি গ্রুপ প্রথমে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (পিডিবি) বকেয়া পরিশোধের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। এছাড়া বকেয়া পরিশোধের নিশ্চয়তার জন্য তারা ১৭০ মিলিয়ন ডলারের লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) চেয়েছিল।
এদিকে, আদানি গ্রুপের বিদ্যুতের মূল্য দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব। তিনি বলেন, ‘এ পরিস্থিতির জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী।
তবে পাওনা পরিশোধের সর্বক্ষমতা এই সরকারের আছে।’
রবিবার (০৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধের খবরে সরকার মর্মাহত জানিয়ে শফিকুল আলম বলেন, ‘আদানির বিদ্যুতের মূল্য পরিশোধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার অনেক টাকা বাকি রেখে গেছে। তবে কোনো একটি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থার কাছে বাংলাদেশ জিম্মি হবে না।’
খুলনা গেজেট/কেডি