চুয়াডাঙ্গার জীবননগর থানা পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে মনোয়ারা খাতুন (৩০) নামের এক মাদক মামলার আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক উপ-পরিদর্শকসহ (এসআই) তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানাকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- জীবননগর থানার দায়িত্বরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) পবিত্র মণ্ডল, কনস্টেবল সোলাইমান খান ও মিতা খাতুন।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদোন্নতিপ্রাপ্ত) রিয়াজুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, কর্তব্যে অবহেলার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় অনুসন্ধান চলছে। এ ঘটনার অনুসন্ধান করতে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরে। এ সময় শৌচাগারে যাওয়ার কথা বলে থানা হেফাজত থেকে পালিয়ে যান ওই নারী আসামি। পালানোর ঘটনায় তার বিরুদ্ধে পেনাল কোডে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
আসামি মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার জলিলপুর গ্রামের শাহজাহান মণ্ডলের মেয়ে।
এর আগে গতকাল বুধবার (৩০ অক্টোবর) মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (বিজিবি-৫৮) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে ৮৪ বোতল ফেনসিডিলসহ মনোয়ারা খাতুন ও তার সহযোগী নাজমুল হুদাকে আটক করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। ওইদিনই বিজিবির পক্ষ থেকে আটক দুজনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
জীবননগর থানা সূত্রে জানা যায়, মনোয়ারা খাতুনকে নারী ও শিশু ডেস্কে রাখা হয়েছিল। সকালে শৌচাগারে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান তিনি। তাকে গ্রেপ্তারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা মাঠে নেমেছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে