ফিটনেস নিয়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মানসিকতায় বড় ধরনের বদল ঘটিয়েছিলেন মারিও ভিল্লাভারায়ন। ফিটনেস ট্রেনার হিসেবে তার জায়গায় এখন কাজ করছেন নিক লি। তার দাবি, লকডাউনের আগের সময়ের চেয়ে এখন বেশি ফিট দেশের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা।
করোনাভাইরাসের জন্য পাঁচ মাস ঘরে বসে কাটিয়েছেন ফার্স্ট ক্লাসে খেলা ক্রিকেটাররা। চার দেয়ালের মাঝে ফিটনেস নিয়ে কাজ করে গেছেন সকলে। মাঠে ফেরার সুযোগ পেতেই বাড়িয়েছেন পরিশ্রম। যার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে ক্রিকেটারদের ফিটনেস টেস্টের ফলেও।
বিসিবির টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সোমবার প্রথম ধাপে প্রায় ৬০ ক্রিকেটার দিয়েছেন বিপ টেস্ট। মঙ্গলবার নেয়া হবে বাকিদের ফিটনেসের পরীক্ষা। একবছরের নিষেধাজ্ঞা শেষে ফেরা সাকিব আল হাসান বুধবার একা দেবেন পরীক্ষা।
প্রথম ধাপের পরীক্ষায় নির্বাচকদের বেধে দেয়া বেঞ্চমার্ক ১১ ছাড়িয়েছেন প্রায় সবাই। গুটিকয়েক ক্রিকেটার ছুঁতে পারেননি বিসিবির মানদণ্ড। খেলোয়াড়দের ফিটনেসে দারুণ সন্তুষ্ট বিসিবির হেড অব ফিজিক্যাল পারফরম্যান্স নিক লি। তার মতে, আগের চেয়ে এখন বেশি ফিট বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।
‘আজকে জাতীয় নির্বাচকরা দেখতে চেয়েছিলেন ফার্স্ট ক্লাস খেলোয়াড়দের অবস্থা যাচাই করে। তাদেরকে টি-টুয়েন্টি টুর্নামেন্টের জন্য প্রস্তুত করতে। আমার মনে হয় নির্বাচক এবং বাকি সবাই জানে যে, এটি সবার জন্যই একটি কঠিন বছর ছিল। করোনাভাইরাসের জন্য ক্রিকেটে এবং খেলোয়াড়দের শারীরিক অনুশীলন করায় অনেক বাধা এসেছে। আজকে ব্যাপারটি ছিল সবাইকে এনে তাদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা। এখন পর্যন্ত যা দেখেছি, বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ভালো করেছেন। অল্প কয়েকজন সমস্যায় পড়েছেন। যে ফলাফলগুলো এসেছে, তাতে নির্বাচকরা খুশি হবেন।’
‘নির্বাচকদের দেয়া তালিকা অনুযায়ী পুলের মধ্যে থাকা সব খেলোয়াড়কে আমরা ব্যক্তিগত পরিকল্পনা দিয়েছিলাম। যা তারা বাসায় মেনে চলতে পারবে। পাঁচ-ছয় মাস পর ট্রেনিং আয়োজনের সময় খুবই খুশি ছিলাম যেভাবে খেলোয়াড়রা ফিরে এসেছিল। তারা সবাই লকডাউনে শারীরিক অনুশীলন চালিয়ে গিয়েছিল। জাতীয় দল এবং এইচপির খেলোয়াড়রা বর্তমানে যে অবস্থায় আছেন, সেটি নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। যেটি ভালো লেগেছে, করোনাভাইরাসের কারণে তারা ক্রিকেট খেলতে না পারলেও এটি তাদের আরও ফিট হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।’
খুলনা গেজেট/এএমআর