ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে বাগেরহাটের উপকূলজুড়ে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। বুধবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দুপুরের দিকে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টি শুরু হয়। হঠাৎ এই বৃষ্টি শুরু হওয়া জনজীবনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রতি বছর বাগেরহাটের উপর দিয়ে দুই একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানব সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
তবে এ রিপোর্ট লেখা পযন্ত ( সন্ধা সাড়ে ৬ টা) আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও বৃষ্টির দেখা নেই।
উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটের নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাস করা মানুষের মাঝে নতুন করে ঝড়ের শংকা দেখা দিয়েছে।
এদিকে জেলা প্রশাসক ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের জন্য ৩৫৯টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, উপকূলীয় এই জেলার মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা। আমরা দানা মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, উপকূলের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে।’ জেলায় ৮০০ মেট্রিকটন চাল, নগদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য জন্য ৫ লাখ ও গো-খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্ধ রাখা হয়েছে। মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়ার জন্য ৩ হাজার৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে