খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের পতন হলেও তাদের দোসররা এখনো সক্রিয় রয়েছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা ছদ্মবেশে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করছে। প্রশাসন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র্রে প্রতিটি সেক্টরে বসে থাকা আওয়ামী ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মারা বিপ্লবকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য রাষ্ট্রকে সহায়তা না করে দেশবিরোধী বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪টায় সোনাডাঙ্গা থানার অর্ন্তগত শেখপাড়া বিকে রায় রোডে অনুষ্ঠিত ২০নং ওয়ার্ড বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পালিয়ে গিয়ে ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুম-খুনের জননী আখ্যা দিয়ে বলেন, বহিঃবিশ্বের ষড়যন্ত্র রুখতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ৩০ দিনে হাজারে ছাত্র জনাতার রক্তের বিনিময়ে মানুষ যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হবে। শহীদ জিয়া যেভাবে মানুষকে ভালবেসেছেন, খালেদা জিয়া যেভাবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে ভূমিকা রেখেছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নতুন বাংলাদেশ গড়ার যে প্রত্যয়ব্যক্ত করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ছাত্র-জনতাসহ দেশের আপামর জনতা বন্দুকের নলে বুক পেতে বিশ্ববাসীকে দেখিয়েছে স্বৈরাচারীর নিকট তারা মাথানত করতে জানে না। গত ১৬ বছর আওয়ামী লীগ মাফিয়া শাসনতন্ত্র চালু করে দেশকে পরনির্ভরশীল রাষ্ট্রে পরিণত করেছিল। লুটপাট এবং টাকা পাচারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিয়েছে। দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে দলীকরণ করে রাষ্ট্র কাঠামোকে ভেঙে দিয়েছে। স্বৈরাচার পালানোর মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সুবাতাস বইছে। স্বৈরাচার পালালেও স্বৈরাচারের প্রেতাত্মা এখনো গণতন্ত্রকে ব্যাহত করার চেষ্টা চালাচ্ছে। ৫ আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শুধু গণতন্ত্রই নয় দেশের সার্বভৌমত্বও রক্ষা পেয়েছে। সম্মেলনে বক্তারা রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা রুপরেখা নিয়ে আলোচনা করেন।
ওয়ার্ড বিএনপির আহবায়ক আসাদুজ্জামান আসাদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক বদরুল আনাম খান, হাফিজুর রহমান মনি, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, শেখ সাদী, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল ওয়ারা, শেখ এনামুল কবির, মোল্লা মিজান, বক্কার মীর, আবুল কালাম, গাজী নুুর মোহাম্মদ, মোঃ সফিকুল ইসলাম, মোঃ জাবির আলী, আমিন হোসেন মিঠু, মোঃ আতিয়ার রহমান, শেখ ফিরোজ, মাসুদ পারভেজ বাবু, সুলতানা পারভিন রজনী, আরিফুর রহমান টুকু, শেখ ডেবিট, ইয়াছিন আরাফাত, বাবুল তালুকদার, ওয়াহিদ মুরাদ রাজা, গাজী আতিকুর রহমান আতিক, মনিরুজ্জামান রিপন, মোঃ লাভলু, মোঃ রিপন সিকদার, নুর আলম রিপন, সামসুল হুদা জাহিদ ছোটু, গোলাম রসুল রনি, মোঃ গাউছ হাওলাদার, শাবু খন্দকার, খলিলুর, শাজাহান কবির মিঠু রহমান, মোঃ ফয়েজ আহমেদ রাসেদ, মোঃ শাহাবুদ্দিন, মেহেদী হাসান মাসুম, নজরুল মীর, মোঃ রিয়াদ, নুর ইসলাম, মোঃ দবির, মোঃ ইমরান, শেখ আবির মঈন, শেখ আরমান, গাজী আমিনুর রহমান, নুর মোহাম্মদ, নুরু, আজাদ, মোঃ রাজু প্রমূখ। সম্মেলন শেষে কাউন্সিল অধিবেশনে কাউন্সিল অধিবেশনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শেখ হাবিবুর রহমান সভাপতি, মো. আবু ওয়ারা সাধারণ সম্পাদক ও মো. বক্কর মীরকে সাংগঠনিক সম্বপাদক নির্বাচিত ঘোষনা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বেগম রেহেনা ঈসা।
খুলনা গেজেট/কেডি