প্রথম ম্যাচেই সেমির স্বপ্নপূরণ হলো না বাংলাদেশের। পাকিস্তানের সঙ্গে শেষ মুহূর্তের গোলে কোনোমতে ড্র করেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ইনজুরি সময়ের গোলে ১-১ সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নির্ধারিত হবে এ গ্রুপের সেমির লাইনআপ।
নির্দিষ্ট সময়ের খেলা শেষ, ইনজুরি সময়ের বাঁশি বাজিয়েছেন রেফারি। তখনও ১-০ গোলে পিছিয়ে বাংলাদেশ। ঠিক এমন সময় সীমাহীন আনন্দ লাল-সবুজের ডাগআউটে। ঋতুপর্ণার ক্রসে জটলার মাঝ থেকে বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান শামসুন্নাহার জুনিয়র। ড্রতে ভালোভাবেই টুর্নামেন্ট এ টিকে রইলো বাংলাদেশ।
সেমিফাইনাল নিশ্চিতের লক্ষ্যে শুরুর একাদশে মারিয়া মান্দা ও দীর্ঘদিন ইনজুরিতে ভোগা কৃষ্ণা রানী সরকারের উপর ভরসা রাখতে পারেনি পিটার বাটলার। প্রথমবার সিনিয়র সাফে সুযোগ পেয়েছেন আফিদা খন্দকার ও খোয়াতি কিসকু।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোল করতে মরিয়া বাংলাদেশ। গোলের সুযোগও তৈরি করেছিলেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তবে মাথা ছোঁয়াতে পারেননি শামসুন্নাহার জুনিয়র। নবম মিনিটে ঋতুপর্ণার আরও একটি ক্রস, তবে এবার সংঘর্ষ শামসুন্নাহার জুনিয়রের সঙ্গে পাক অধিনায়ক মারিয়া জামিল খানের। আঘাত পেয়ে দু’জনই মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে খেলেছেন বাকি সময়।
এরপর ৫ মিনিটের ব্যবধানে স্বপ্না রানী, শামসুন্নাহার জুনিয়র, তহুরারা কঠিন পরীক্ষা নেয় পাকিস্তান রক্ষণের। যদিও গোলের দেখা পায়নি। তবে স্রোতের বিপরীতে এগিয়ে যায় পাকিস্তান। নির্ভার বাংলাদেশ রক্ষণের সুযোগ নেন জাহমিনা সামিন মালিক। রামিন ফরিদের লং সট পূর্ণতা দেন তিনি।
বিরতির আগে সমতায় ফিরতে পারতো বাংলাদেশ। যদি ঋতুপর্ণার সট ক্রসবার বাধা না হতো। দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরেফিরে আবার সেই ঋতুপর্ণা। বারবার আক্রমণে গিয়েছেন, তবে ফিনিশিংয়ের অভাবে তার চেষ্টাগুলো পূর্ণতা পায়নি।
কৌশলে পরিবর্তন এনে কৃষ্ণা, সাগরিকা ও মারিয়াকে মাঠে নামান বাটলার। তাতেই আলোর মুখ দেখে বাংলাদেশ। অবশ্য ৭৬ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর দারুন সুযোগ পায় পাকিস্তান। রূপনা চাকমাকে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি আমিনা হানিফ।
দু’বছরের ব্যবধানে আকাশ থেকে মাটিতে নেমে এলো বাংলাদেশ, গেলো বছর যে পাকিস্তানকে ৬-০ গোলে হারিয়েছিল, এবার তাদের বিপক্ষেই ড্রতে সন্তুষ্ট থাকতে হলো। শেষ চার নিশ্চিত করতে এখন ভারতের বিপক্ষে হার এড়ানোর সঙ্গে, নজর রাখতে হবে গোল ব্যবধান।
খুলনা গেজেট /কেডি