খুলনা, বাংলাদেশ | ৫ আশ্বিন, ১৪৩১ | ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ভোলায় অস্ত্রসহ ইউপি চেয়ারম্যান আ ক ম নাসিরুদ্দিন নান্নু ও তার ছেলে আটক
  খুলনা জেলা বিএনপির আহ্ববায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা

বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগেস কি ভাঙছে?

কলকাতা প্রতিনিধি

২০২১ সালে পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন । আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে ক্ষমতাসীন তৃণমূল দল কি ভাঙনের মুখে? এইরকম একটি আশঙ্কা করছে এই রাজ্যের রাজনৈতিক মহল। আর এই ভাঙনের মূল অনুঘটক মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানর্জির দলের সেকেণ্ড ইন কমাণ্ড তথা রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ।

২০০৭-৮ সালে এই রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে ক্ষমতায় এনে দেওয়ার মূলে সিঙ্গুর ও নন্দীগ্রাম কৃষি আন্দোলন। আর সেই নন্দীগ্রাম কৃষিজমি আন্দোলনের প্রধান অনুঘটক হলেন শুভেন্দু অধিকারী তথা ‘অধিকারী’ পরিবার । এই অধিকারী পরিবার পূর্বমেদিনীপুর জেলার কাঁথির বেতাজ বাদশাহ । এই পরিবারের কম- বেশি সকলেই রাজনীতিক। শুভেন্দু অধিকারীর বাবা বর্ষীয়ান নেতা শিশির অধিকারী বর্তমানে ভারতের লোকসভার সাংসদ। এক ভাই পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের সাংসদ। আরেক ভাই কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিধায়ক। শুভেন্দু অধিকারী নিজে একজন ভালো সংগঠক। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল দলের মন্ত্রিসভার একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও তরুণ-তুর্কী শুভেন্দু অধিকারী। দু- দুবার ভারতের লোকসভার সদস্য ।

ইতিমধ্যে ‘আমরা দাদার অনুগামী’ নামে একটি সংগঠন গড়ে মমতা ব্যানার্জিকে যথেষ্ট চাপে রেখেছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। ‘আমরা দাদার অনুগামী’ শুভেন্দুর এই সংগঠন সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে তার জনসংযোগ প্রসারিত করেছে বা করছে। ১০ নভেম্বর শুভেন্দু নন্দীগ্রাম একটা মহাসমাবেশ ডেকেছেন, যেখানে তৃণমূলের ঝান্ডা বা তৃণমূল সুপ্রীমো মমতা ব্যানার্জি থাকছেন না। মমতা ব্যানার্জিকে এড়িয়ে বিগত কয়েকমাস শুভেন্দু অধিকারী কোনো মিটিং- মিছিল করেননি বা সরকারি কর্মসূচিতে যোগও দেননি। রবিবার অর্থাৎ ৮ নভেম্বর মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে সদ্য প্রয়াত মফিজুদ্দিন মণ্ডল নামে এক নেতার স্মরণসভায় শুভেন্দু অধিকারী যোগ দেন। সেখানে কাতার কাতারে লোক সামিল হন। সেই স্মরণসভায় তৃণমূলের কোনো পতাকাই ছিল না। রাজ্যের রাজনৈতিক মহল মনে করছে, মমতা ব্যানার্জি তার ভাইপো অভিষেক ব্যানার্জিকে প্রমোট করতেই শুভেন্দু ও তার অনুগামীদের ডানা ছেঁটে দিচ্ছেন। আর এতেই তৃণমূল দলের ভাঙন অবধারিত হয়ে পড়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মুকুল রায় দল থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তার ফল হাড়ে হাড়ে পেয়েছিল তৃণমূল । বিজেপি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ টি আসনের মধ্যে ১৮ টি দখল করে। তাই তৃণমূল থেকে এবার যদি শুভেন্দু বেরিয়ে যান তাহলে তৃণমূলের অবস্থা কোথায় যেয়ে ঠেকবে, তা সময়ই বলে দেবে।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!