ব্যাংক খাতে আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষায় বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও সরকার। এর মধ্যে রয়েছে, খেলাপি ঋণের পরিমাণ হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন, ব্যাংক খাতে তারল্য পরিস্থিতি স্বস্তিদায়ক পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা, আমানতকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা বজায় রাখার পাশাপাশি ব্যাংক খাত তথা সামগ্রিক আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকারের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার সংক্রান্ত ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি তিন মাস পর পর প্রকাশ করার কথা থাকলেও বিদায়ি সরকারের সময়ে অর্থনীতির নানা তথ্য আড়াল করতে এটি নিয়মিত প্রকাশ করেনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংক খাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণে ২০২৬ সালের মধ্যে খেলাপি ঋণের অনুপাত ৮ শতাংশে নিয়ে আসার কৌশল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ লক্ষ্যে আইনগত সংস্কার, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা চিহ্নিতকরণ, খেলাপি ঋণ অবলোপনের নীতিমালা সংশোধন করা হচ্ছে। একই সঙ্গে খেলাপি ঋণ আদায় কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক খাতের মোট ঋণের বিপরীতে খেলাপি ঋণের হার গত জুন পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশে। গত মার্চ শেষে এ হার ছিল ১১ দশমিক ১১ শতাংশ। গত বছরের জুনে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণের হার কমলেও ডিসেম্বরে তা বেড়ে যায়। গত ডিসেম্বরের পর থেকে মার্চ ও জুন এই দুই প্রান্তিকেই খেলাপি ঋণের হার বেড়েছে।
এতে আরও বলা হয়, বিতরণ করা ঋণ আদায় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এদিকে চলতি বছরের এপ্রিল জুন প্রান্তিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে ডলার বিক্রির পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যাংক থেকে টাকা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলে যাওয়ার প্রবণতা কমেছে। এর বিপরীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে স্থানীয় মুদ্রায় নীতি সহায়তা দেওয়া অব্যাহত রাখা হয়েছে। এছাড়াও আমানতের সুদ হারের নিুসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে ব্যাংকগুলোতে তারল্য প্রবাহ বেড়েছে।
খুলনা গেজেট/কেডি