ছাত্র জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের পর সমাজের সকল স্তরে ব্যপক পরিবর্তন এসেছে। ৫ আগস্টের আগের আর পরের পুলিশের মধ্যে অনেক পার্থক্য। এখন পুলিশ প্রকৃত অর্থে জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করছে।
সমাজের অনিয়ম ও আইন শৃঙ্খলা বিরোধী কার্যকলাপের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। পুলিশের কাছে এখন মানুষ নিরাপত্তা ও অভিযোগ জানাতে পারবে। এক্ষেত্রে জনগণের সহযোগিতা প্রয়োজন। আসন্ন দূর্গা পূজায় মন্ডপ ও মন্ডপ সংলগ্ন এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অপরাধীরা কোনক্রমেই ছাড়া পাবে না।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নাগরিক আন্দোলন খুলনার সমন্বয়কারীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে জেলা পুলিশ সুপার পিএম মোশারফ হোসেন একথা বলেন। পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডা. মনজুর মোর্শেদ, লোকমান হাকিম, ড. প্রসেনজিৎ দত্ত, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, কাজী মোতাহার রহমান বাবু, এ্যাড. রেজাউল হক সিদ্দিকী, এস এম হারুনুর রশিদ, মাহাবুবুর রহমান খোকন, বীথি বিশ্বাস, এ্যাড. রেজাউল হক সিদ্দিকী, রুহুল আমিন, প্রভাষক আহসান হাবিব, আব্দুস সবুর, কবির হোসেন বাবু, মো. সাইফুল্লাহ।
এ অনুষ্ঠানে নাগরিক আন্দোলন খুলনার সমন্বয়কারী ডা. শেখ বাহারুল আলম প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ছাত্র আন্দোলনের বিজয় ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না। গণতন্ত্রের সুফল সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। আগে থানায় গেলে মামলা নেয়া হতো না। এখন সে অবস্থান অবসান হয়েছে। ক্ষমতাশীন দলের লোক না হলে তরুনরা গুরুত্ব পাবে না বলে সেই শিবিরে ধর্ণা দিত। তিনি আসন্ন দূর্গা পূজায় সকলের স্তরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ সুপারকে অবহিত করেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর নয়া পুলিশ সুপার খুলনায় যোগদান করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে