খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, ছাত্র -জনতার বিজয়কে ম্লান করার জন্য যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হয়েছেন, তারা দেশপ্রেমিক নয়, তারা দেশদ্রোহী, তাদেরকে রুখে দিতে হবে। বিগত দানব সরকারকে সরাতে ছাত্র-জনতা তাদের রক্ত দিয়েছে, যার জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে। বেগম জিয়ার মুক্তি হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়েই অন্তর্বরতীকালীন সরকারের মাধ্যমে অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে মানবিক গণতান্ত্রিক সরকার গঠন হবে। কিন্তু ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করতে কিছু সংখ্যক মানুষ ষড়যন্ত্র করছে। সুপরিকল্পিতভাবে আমাদের ঐক্য বিনষ্টের চেষ্টা চলছে, সেটিকে রুখে দিতে হবে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায় দৌলতপুর থানার ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে রক্তস্নাত দীর্ঘ সংগ্রাম ও ছাত্র জনতার গণ অভ্যূত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা নস্যাৎ করার সকল অপচেষ্টা রুখতে এবং সাম্য ও নতুন বাংলাদেশ বির্নিমানের লক্ষ্যে নতুনরাস্তা মোড়ে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, দেশ এখন ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। আমরা ভোটাধিকার চাই। জনগণকে দেশের মালিকানা ফেরত দেয়া হোক। বিদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনা হোক।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেছেন, ছাত্র জনতার গণআন্দোলন দমন করতে হাসিনা সরকার হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের পথ বেছে নিয়েছিল। জনতার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ ও আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে সারা দেশে শত শত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারও করা হয়েছিলো হাজার হাজার নেতাকর্মীকে। আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের নামিয়ে দিয়ে সমগ্র দেশকে রণক্ষেত্রে পরিণত করেছিল। কিন্তু ছাত্র জনতার দুর্বার প্রতিরোধের মুখে আওয়ামী লীগের সেই স্বপ্ন তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে। শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। শেখ হাসিনা পালানোর পরে ছাত্র জনতার এই বিজয়কে কালিমাযুক্ত করার ষড়যন্ত্র আবার শুরু হয়ে গেছে। তাই নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীদের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
শেখ আনসার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ সাদী, মুরশিদ কামাল, শেখ ইমাম হোসেন, রোবায়েত হোসেন বাবু, নুর ইসলাম বাচ্চু, মতলবুর রহমান মিতুল, লিয়াকত হোসেন লাভলু, শফিকুল আমিন লাভলু, খবির উদ্দীন, জয়নাল আবেদীন, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, অধ্যাপক ইলিয়াস আলী, অধ্যাপক আবু হোসেন বাবলু, মনিরুল ইসলাম নিশা, আহাদুজ্জামান, বেল্লাল হোসেন, সাঈদ দিদার, হাবিবুর রহমান, হাদিসুর রহমান নোমান, সালমা বেগম, মাহমুদ উদ্দীন, শহিদুল ইসলাম, শাহজাহান আলী প্রমূখ।- খবর বিজ্ঞপ্তির।
খুলনা গেজেট/কেডি