গতকাল রবিবার রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের ফলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। তলিয়ে গেছে বিভিন্ন হল ও রাস্তাঘাট। এতে তীব্র ভোগান্তি পোহাচ্ছে শিক্ষার্থীরা।
নিম্নচাপের প্রভাবে গতকাল সারা দিন-রাত ধরে চলতে থাকা বৃষ্টির পর আজ সকালে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের খান জাহান আলী হলে সরেজমিনে এসে দেখা যায় তলিয়ে গেছে হল, পুরো পানির নিচে নিচ তলা। পানি ঢুকেছে নিচতলার রুমগুলোতে। রাতে হঠাৎ রুমের ভিতর পানি ঢুকায় ভিজে গেছে বিভিন্ন মালামাল, বই খাতা ও গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র।অকেজো হয়ে পড়েছে নিচ তলার পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা। একই অবস্থা খান বাহাদুর আহসান উল্লাহ হল এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের। রুমের ভিতর পানি না ঢুকলেও তলিয়ে গেছে নিচতলা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ডিসিপ্লিনের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সিয়াম বলেন,”সকালে উঠেই দেখি পানিতে থৈ থৈ করছে চারদিকে। বাইরে রাখা জুতা গুলা ভাসিয়ে নিয়ে গেছে পানিতে। বই খাতা গুলো ভাসছে পানির উপর। এছাড়াও সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনার সম্ভবনা। দ্রুত যাতে অবস্থার উন্নতি হয় তার জন্য হল কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন এবং রাস্তাঘাটের সামনে জমেছে প্রায় হাঁটুপানি। ডুবে গেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। সামান্য বৃষ্টি হলেই ক্যাম্পাসে দেখা যায় এমন জলাবদ্ধতা। অনেকের ধারণা সঠিক পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় অল্প বা ভারী বৃষ্টিতেই পানির নিচে চলে যায় খুবি ক্যাম্পাস।
সূত্র থেকে জানা যায়, ময়ূর নদের সংযোগ খালের নিষ্কাশন অংশ অবৈধভাবে দখল করে স্থায়ীভাবে দোকানসহ ঘরবাড়ি নির্মাণ করার ফলে পানি ভালো করে নিষ্কাশিত হওয়ার সুযোগ পায় না। অথচ ১৫-২০ বছর আগে এই সংযোগ খাল দিয়েই নিস্কাশিত হত ক্যাম্পাসের পুরো পানি। এই অব্যবস্থাপনার ফলে দেখা দিয়েছে দূষণ এবং জলাবদ্ধতার প্রবণতা।
এ বিষয়ে খুলনা গেজেট খুবির সাময়িক দায়িত্বপ্রাপ্ত আর্থিক ও প্রশাসনিক প্রধান ড.রেজাউল করিমের কাছে জানতে চাইলে তিনি শিক্ষার্থীদের সাথে এসব বিষয়ে দ্রুত কথা বলার আশ্বাস দেন।
হলের পানি নিষ্কাশনের বিষয়ে খুবির খান জাহান আলী হলের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খুলনা গেজেটকে বলেন,”আমরা আপাতত মোটর দিয়ে হলের ভিতর আটকে থাকা পানি নিস্কাশন করছি এবং হলের চারপাশে যে ব্লকেজগুলো দিয়ে পানি চলাচল করে সেগুলো বন্ধ করা হয়েছে যাতে বাইরের পানি হলের ভিতর প্রবেশ করতে না পারে। শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ কমাতে আমরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
খুলনা গেজেট/এএজে