জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, আমরা এদেশেরই নাগরিক, এখানে সংখ্যা লঘু- সংখ্যা গুরু বলে কিছু নেই। আমরা ‘সংখ্যা লঘু-সংখ্যা গুরুর দেওয়াল ভেঙ্গে ফেলতে চাই’। শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় খুলনার পাইকগাছা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি আরোও বলেন, ৭১’র বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও অদ্যবধি সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরন হয়নি। শুধু লুটপাট ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে দেশকে ধ্বংস করা হয়েছে। গত ১৫ বছরে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার স্বাধীনতার পক্ষ-বিপক্ষ শক্তির ইস্যু বানিয়ে গোটা জাতিকে বিভক্ত করে রেখেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি। হামলা-মামলা দিয়ে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছে। এতদিনে আমরা যেটা পারেনি, শেষ পর্যন্ত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট জুলুমবাজ সরকারের পতন ঘটে।
তিনি সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ জানিয়ে অন্তবর্তী সরকারকে সহযোগিতার আহবান জানান।
ন্যায় ও ইনছাফ ভিক্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গিকার ব্যক্ত করে তিনি সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, জামায়াত ইসলামী আগামীতে জোটগত নির্বাচনে যাবে কিনা, সেটা এখন বলার সময় আসেনি, যখন নির্বাচন হবে তখন সেটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পাইকগাছা প্রেসক্লাব সভাপতি এ্যাড,এফএমএ রাজ্জাকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সভায় উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন, উপজেলা জাময়েত ইসলামীর আমীর ও জেলা শুরা সদস্য মাওঃ সাঈদুর রহমান।
দক্ষিণ জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি রুহুল আমীনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন জেলা সংগঠনের নায়েবে আমীর গোলাম সরোয়ার, জেলা ইউনিট সদস্য অধ্যাপক মোমিন উদ্দীন,জেলা কর্মপরিষদ সদস্য মাওঃ আমিনুল ইসলাম, জেলা সদস্য কাজী তমজীদ আলম, এ্যাডঃ আঃ মজিদ, উপজেলা কমিটির সেক্রেটারী আলতাফ হোসেন, মোর্ত্তজা জামান আলমগীর রুলু, আছাদুল হক, তৌহিদুজ্জামান নুর, মহিবুল্লাহ, তামিম রায়হান, সোহেল প্রমুখ।
এতে আরোও বক্তব্য রাখেন, পাইকগাছা প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি আঃ আজিজ, সাধারন সম্পাদক এম মোসলেম উদ্দিন আহম্মেদ, সাবেক সভাপতি মাষ্টার আঃ গফুর ও যুগ্ম সম্পাদক এন, ইসলাম সাগর।
খুলনা গেজেট/কেডি