খুলনা, বাংলাদেশ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩রা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় গণমাধ্যম সূচকে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ: তথ্য উপদেষ্টা
  বন্ধ হয়ে গেল নভোএয়ারের ফ্লাইট
মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা

ফেনীতে বানভাসি মানুষের বাঁচার আকুতি, উদ্ধারে সেনাবাহিনী-বিজিবি

গেজেট ডেস্ক 

ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজানের পানিতে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে ফেনীর পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলা। মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সবগুলো ভাঙনের স্থান দিয়ে প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করে ডুবছে একের পর এক জনপদ। এতে বসতবাড়ি, রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন লাখ লাখ মানুষ।

ভয়াবহ এই বন্যায় বানভাসি মানুষদের উদ্ধারে বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুর আড়াইটা থেকে কাজ শুরু করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যাকবলিত এলাকায় আটকে পড়া মানুষদের উদ্ধার করতে সেনাবাহিনী ও কোস্টগার্ডের সহযোগিতা চাওয়া হয়। এরপর স্পিডবোট নিয়ে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে তারা। একইসঙ্গে বিজিবি সদস্য ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক পরিবারের শত শত স্বেচ্ছাসেবক উদ্ধার ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করছেন।

এদিকে বিকেলে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বার্তা দিয়ে জানানো হয়, ফেনী জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজীতে বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে স্পিড বোট ও হেলিকপ্টার।

বন্যাকবলিত পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া এলাকার বয়োবৃদ্ধ আবদুর রহমান বলেন, বিগত জীবনে এমন ভয়াবহ বন্যা কখনো দেখিনি। সময় বাড়ার সঙ্গে বন্যা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে। টানা বৃষ্টি পড়তে থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে।

রাসেল নামে এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে সহায়তা নিয়ে আসছে। কিন্তু পানির তীব্র স্রোতের কারণে পরশুরামে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তারপরও আমাদের সদস্যরা বিভিন্ন পয়েন্টে কাজ করার চেষ্টা করছে। টানা বৃষ্টিতে চারদিকে পানি থই থই।

ফেনী আবহাওয়া অধিদপ্তরের উচ্চ পর্যবেক্ষক মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ফেনীতে টানা তিন দিন মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। জেলায় বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ৭২ ঘণ্টা বৃষ্টি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে ফেনী জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, বন্যাদুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী স্পিডবোট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাদের সঙ্গে কোস্টগার্ডের একটি টিম শিগগিরই যোগ দেবে। এ ছাড়া বিজিবি ও স্বেচ্ছাসেবকরা সকাল থেকে আটকে পড়া মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনতে কাজ করছে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!