খুলনা, বাংলাদেশ | ২ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৭ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  প্রীতি ম্যাচ : মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারাল বাংলাদেশ, সিরিজ শেষ হলো ১-১ সামতায়
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৯৪
  আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচার, মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার : ড. ইউনূস
  জুলাই-আগস্টে নিহতদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশে সময় লাগবে : উপদেষ্টা আসিফ

বেনজীরকে পালাতে সহায়তা, শাহেদা সুলতানাসহ পুলিশের ১৪ কর্মকর্তাকে বদলি

গেজেট ডেস্ক

বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ১৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকে দেশ থেকে পালাতে সহযোগিতা করা বর্তমানে র‍্যাবে কর্মরত (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) শাহেদা সুলতানা। র‍্যাব সদর দপ্তরের অপারেশন উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস) হিসেবে কর্মরত এ বিতর্কিত নারী কর্মকর্তাকে রাজশাহী রেঞ্জ ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এছাড়া, রাজশাহী সদরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মাবুদকে ঢাকা পুলিশ টেলিকম সংস্থায়, টাঙ্গাইল পিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারিয়া আফরোজকে পুলিশ সদর দপ্তরে বদলি করা হয়েছে। আর ডিএমপির অতিরিক্ত উপ পুলিশ কমিশনার মো. রাশেদ হাসানকে এসবিতে বদলি করা হয়েছে। গত ২৬ মে তাকে দিনাজপুর বীরগঞ্জ সার্কেলের পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছিল। এই আদেশে সেটি বাতিল হলো।

বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) পুলিশ মহাপরিদর্শক আইজিপি মো. ময়নুল ইসলামের সই করা এক অফিস আদেশে তাদের বদলি করা হয়।

এছাড়া, র‍্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন, পিবিআই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সারওয়ার জাহান, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ রাজীবুল হাসান, শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মইনুল হক, সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান হোসেন, এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামী, এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু লাইচ মো. ইলিয়াচ জিকু, এবিপিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম শাহরিয়ার আব্দুল্লাহ-বিন-ফরিদ ও নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সুমন রেজাকে ঢাকা মহানগর পুলিশে (ডিএমপি) বদলি করা হয়েছে।

পুলিশের সহায়তায় যেভাবে দেশ ছাড়েন বেনজীর

পুলিশের সাবেক আইজি বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির ভয়াবহ চিত্র বের হয়ে আসার পর অনুসন্ধান শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সব অনুসন্ধানে বেনজীর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়। কয়েকটি ব্যাংক হিসাবে তাদের অস্বাভাবিক লেনদেনের প্রমাণ পায় সংস্থাটি।

এ ঘটনায় দেশব্যাপী শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। তখন আত্মগোপনে চলে যান বেনজীর। গত ৪ মে অত্যন্ত গোপনীয়তায় পুলিশের সহযোগিতায় দেশ ছেড়ে চলে যান তিনি।

বিষয়টি তখন গোপন থাকলেও সরকার তাকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলে মন্তব্য করেছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার সেই অভিযোগের সত্যতা মেলে সম্প্রতি ফাঁস হওয়া একটি সিসিটিভি ফুটেজে। তাতে দেখা যায়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ দেশ থেকে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে পেরেছেন পুলিশেরই এক নারী কর্মকর্তার সহযোগিতায়।

ওই নারী কর্মকর্তা হলেন, সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস) অ্যাডিশনাল এসপি শাহেদা সুলতানা। বর্তমানে তিনি র‍্যাবে কর্মরত।

৪ মে রাত পৌনে ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে বেনজীরকে তুলে দেন শাহেদা সুলতানা। সিসিটিভিতে বেনজীরের কাগজপত্রসহ আগে আগে হাঁটতে দেখা যায় তাকে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শাহেদা সুলতানা অনেকদিন ধরেই বেনজীর পরিবারের ঘনিষ্ঠ। বেনজীর র‍্যাব মহাপরিচালক থাকাকালে শাহেদাও কর্মরত ছিলেন র‍্যাবে। বেনজীর আইজিপি হলে শাহেদার পোস্টিং হয় আইজিপি সেকশনে। সেখানে তিনি আইজিপির স্ত্রীর প্রটোকল অফিসার হিসেবে যোগদান করেন।

অবসরে যাওয়ার পর আবার র‍্যাব সদর দপ্তরের অপারেশন উইংয়ে সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপস) হিসেবে পোস্টিং পান শাহেদা সুলতানা। বেনজীর যখন দেশ ছেড়ে চলে যান, তখন তিনি র‍্যাবে কাজ করা সত্ত্বেও প্রভাব খাটিয়ে তাকে ইমিগ্রেশন পার হতে সাহায্য করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‍্যাবের সদ্য যোগদান করা মহাপরিচালক (ডিজি) এ কে এম শহীদুর রহমান বলেন, আমরা বিষয়টি জেনেছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।

কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়েছে কি না— জানতে চাইলে তিনি বলেন, না কোনো তদন্ত কমিটি করা হয়নি। আমরা এটা খতিয়ে দেখছি।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা এসপি শাহেদা সুলতানার সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

একই সঙ্গে একাধিকবার বেনজীর আহমেদের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। রিং হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!