বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণে বন্ধ থাকা খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ৬ আগস্ট খুলে দেওয়া হয়েছে। খুলে দেওয়া হয়েছে আবাসিক হলগুলো। শিক্ষার্থীরা হলগুলোতে আসতে শুরু করেছে। কর্মকর্তা কর্মচারীরা অফিস শুরু করেছেন। ছুটিতে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর থেকে অফিসে আসেননি প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। ভিসি এবং প্রো-ভিসির অবর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্টিং ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সাহিদুল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ভিসি এবং প্রো-ভিসির অনুপস্থিতির কারণে সিন্ডিকেট সভা আহবান করা যাচ্ছে না। যে কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খুললেও প্রশাসনিক এবং শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
সূত্রমতে, ভিসি এবং প্রো-ভিসি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে পড়ার ভয়ে দু’জনের কেউই অফিসে আসছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর থেকেই ভিসি এবং প্রো-ভিসির পদত্যাগের গুঞ্জন শুনা গেলও সত্যতা মেলেনি।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা হত্যাকারী ও ফ্যাসিজম এর সমর্থক এবং কলুষিত রাজনীতির পৃষ্ঠপোষক ভিসি-প্রোভিসির পদত্যাগের দাবিতে সাধারণ শিক্ষকবৃন্দের এক ৱ্যালি আজ রবিবার (১১ আগস্ট) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের থেকে শুরু হবে। ৱ্যালি শেষে এক্টিং ভিসি মহোদয়ের নিকট উপরে উল্লেখিত দাবিসমূহ পেশ করা হবে বলে বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক শিক্ষক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
খুলনা গেজেট/এনএম