শুক্রবার । ৩রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩২

কন্যার হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে পিতার সংবাদ সম্মেলন

রামপাল প্রতিনিধি

বাগেরহাটে কন্যা হত্যাকারিদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে চুলকাটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৩১ জুলাই) সকাল ১০টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ফকিরহাটের বেতাগা ইউনিয়নের মাসকাটা গ্রামের মৃতঃ আব্দুল বারিক মোল্লার পুত্র মোঃ কামাল মোল্লা বলেন, গত ৯ মাস পূর্বে তার মেঝ কন্যা উম্মে হানিয়া (১৯) এর সাথে পারিবারিক ভাবে বাগেরহাট সদর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বারুইপাড়া গ্রামের আলম সরদারের ছোট পুত্র মোঃ রাজিব সরদার (৩২) এর সাথে বিবাহ প্রদান করেন। বিবাহের পর তিনি জানতে পারেন, তার স্বামী পূর্বেও একই গ্রামে বিয়ে করেন সেই বউকেও আমার জামাতা ও তার আপন বড় ভাইয়ের স্ত্রী শামীমা আক্তার রিক্তা (২৮) স্বামী রাসেল সরদার মিলে পাঁচ মাসের মাথায় ডিভোর্স করিয়ে দেয়। তার জামাতার ভাই বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত রয়েছে। ঘটনার দিন গত ১৯ জুলাই সকাল ১০টায় ০১ ও ০২ নং আসামী আমার মেয়ের স্বামী রাজীব ও তার ভাবি পরকিয়া প্রেমিকা শামীমা আক্তার রিক্তা পূনরায় আমার কন্যার সহিত ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত হয়। প্রতিবেশী লোকজন ঘটনাটি দেখিয়া মোবাইল ফোনে আমার স্ত্রীকে জানায়। সংবাদ পাইয়া একই তারিখ বিকাল অনুমান সাড়ে ৬ ঘটিকার সময় আমার স্ত্রী জান্নাত বেগম আমার ছোট ভাই আল-আমিন মোল্লা ও আমার শ্যালক মোস্তাকিন শেখকে নিয়ে আমার মেয়ের স্বামীর বাড়িতে যায়। গিয়ে দেখি স্থানীয় অনেক লোক আমার জামাই এর উঠানে ভিড় করে আছে। উপস্থিত লোকজন আমাকে বলে আপনার মেয়েকে ওরা মেরে ফেলেছে তখন আমি ঘরে প্রবেশ করে দেখি আমার মেয়ের লাশ। পরে বাগেরহাট সদর মডেল থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করে। পরদিন আমি বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় আমার মেয়ের হত্যাকারী রাজীব সরদার ও তার পরকীয়া প্রেমিকা শামীমা আক্তার রিক্তাকে আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। যার মামলা নং ২৭/২৩৬ তারিখ ২০/০৭/২০২৪, ধারা ৩০২/২০১/৩৪দঃবিঃ। তার দাবি পরকীয়ার জন্য তার কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে।

তিনি তার লিখিত অভিযোগে আরও বলেন, হত্যাকারী রাজীব এর বড় ভাই রাসেল বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল হক আসামীদের নিকট থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা নেওয়ায় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তাদের আটক করছে না। গত ২৪ জুলাই মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই আব্দুল হক আমাকে ফোনে তার বারুইপাড়া ক্যাম্পে যেতে বলে, আমি ও আমার স্ত্রী ক্যাম্পে গেলে তিনি তাচ্ছিলের সুরে বলে আপনারা আসামীদের খুঁজে দেন তারপর আমরা আটক করব, তাহার আচরণে আমরা মেয়ে হত্যার ন্যায় বিচার পাব কিনা তা নিয়ে সংকিত হয়ে পড়েছি।

উপরোক্ত হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষিদের গ্রেফতারের জোর দাবি জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী জান্নাত বেগম।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন