খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনা বলেছেন, দেশের অর্থনীতির এখন টালমাটাল অবস্থা। প্রতিদিনই দেশের অর্থনীতির ধ্বসের কথাই গণমাধ্যমে প্রকাশ পাচ্ছে। পুঁজি পাচারকারী, হুন্ডিওয়ালা, বিপুল অংকের ব্যাংক ঋণ নিয়ে বছরের পর বছর ফেরত না দিয়ে বিদেশে পাচার করে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপী হওয়া, ডলারের তুলনায় টাকার মূল্য কমে যাওয়া, তীব্র ডলার সঙ্কট, প্রবাসী আয় কমে যাওয়া, রেমিটেন্স কমে যাওয়া, অস্বাভাবিক সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি ও খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতিসহ সীমিত ও নিম্ন আয়ের মানুষদেরকে গভীর সঙ্কটে ফেলেছে।
শুক্রবার (২১ জুন) বিকাল ৪টায় বিএনপি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মহানগর বিএনপির মুলতবি বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, জনগণ কতৃর্ক পরিত্যক্ত দল এখন আওয়ামী লীগ। এই দল সংখ্যালঘুসহ গরিব মানুষদের বাড়ি-ঘর, সহায়-সম্পদ এবং অবৈধভাবে টাকা লুটকারী পুলিশের কতিপয় কর্মকর্তাদের ওপর নির্ভরশীল। তাই ভোটারশূণ্য জাতীয় ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে ডামি সরকার ও তাদের গৃহপালিত নির্বাচন কমিশন মোটেও লজ্জিত নয়। আওয়ামী সরকার ও তাদের নির্বাচন কমিশনকে জনগণ বিবেচনা করে শতাব্দির শ্রেষ্ঠ বেহায়া।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় বক্তব্য রাখে ও উপস্থিত ছিলেন স. ম আ. রহমান, বেগম রেহেনা ঈসা, কাজী মাহমুদ আলী, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, কে এম হুমায়ূন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, মোঃ মুরশিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, সৈয়দ সাজ্জাদ আহসান পরাগ, শেখ ইমাম হোসেন, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, আবু সাইদ হাওলাদার আব্বাস প্রমুখ।
সভায় আগামী ২৫ জুনের মধ্য সোনাডাঙ্গা, খালিশপুর, দৌলতপুর, খান জাহান আলী থানা বিএনপির পূর্ণাঙ্গ আহবায়ক কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। তিন সদস্যর ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়, সভায় বেগম রেহানা ঈসাকে প্রধান করে এড. নুরুল হাসান রুবা এবং এড. মাসুম রশিদকে নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সভায় ০৫ জুলাই এর মধ্যে সদর থানার বিএনপির অন্তর্গত ৯ টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।
খুলনা গেজেট/কেডি