টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে সুপার এইটের সাত দল চূড়ান্ত হয়ে গেছে। স্পট বাকি একটি, লড়াই হবে দু’দলের মধ্যে। একটি বাংলাদেশ ও আরেকটি নেদারল্যান্ডস। আগামীকাল সোমবার (১৭ জুন) ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংসটাউনে বাংলাদেশ সময় ভোর সাড়ে ৫টায় বিশ্বকাপের ভাগ্য নির্ধারণী ম্যাচে নেপালের মুখোমুখি হবে টিম টাইগার্স। এ ম্যাচটি জিতলেই সুপার এইটের অষ্টম ও শেষ দল হিসেবে যোগ্যতা অর্জন করবে সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা।
আগের ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের একেবারে কাছে গিয়েও হারের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে নেপালকে। এতে বেশ বড় রক্তক্ষরণ হয়েছে নেপালের সমর্থকদের হৃদয়ে। তাই তো নেপালের চাওয়া বিদায় বেলায় দেশবাসীকে অন্তত একটি জয় উপহার দেয়া। তাই নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে মরণ কামড় দিতে চাইবে তারা।
অন্যদিকে এ ম্যাচটিকে আর অন্য দশটি ম্যাচের মতো নেয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশের সামনে। কেননা এতে যে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের বিশ্বকাপে থাকা না থাকার বিষয়টি। তবে ম্যাচটি হারলেই যে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ যাত্রা এখানে থেকে যাবে এমনটিও বলার সুযোগ নেই। কেননা নেপালের বিপক্ষে হারলেও জটিল সমীকরণের মারপ্যাচের কল্যাণে সুপার এইটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে টিম টাইগার্সদের সামনে।
ডি-গ্রুপে পাঁচ সদস্যের মধ্যে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে নেপাল। এই ম্যাচে শক্তিসামর্থের কথা বিবেচনা করলে যোজন যোজন এগিয়ে বাংলাদেশ। তবে ম্যাচের আগে বড় উদ্বেগের কারণ বারবার টাইগারদের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। হতাশার সঙ্গে ভরসাও রয়েছে দলে। মিডল অর্ডার ব্যাটার এবং বোলারদের পারফরম্যান্স আশাব্যঞ্জক করে তুলছে দলটির সমর্থকদের। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নেমে ৭ উইকেট শিকার করে লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন আছেন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির শীর্ষ দশে।
ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্রেক থ্রু এনে দিচ্ছেন তিনি। তার বোলিং টিম টাইগার্সের মনোবল বাড়িয়েছে। তাসকিন, মুস্তাফিজ এবং তানজিম হাসান সাকিবকে নিয়ে গড়া টাইগারদের পেস ইউনিট যে কোনো দলের জন্য ভয়ংকর। সেই সঙ্গে ইনজুরি কাটিয়ে একাদশে ফেরার অপেক্ষায় আরেক বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলাম।
কার্যত দৃষ্টিতে পয়েন্ট ও নেট রান রেট দু’ভাবেই নেদারল্যান্ডসের চেয়ে বেশ এগিয়ে টিম টাইগার্স। নেপালের বিপক্ষে বড় অঘটন ঘটলেও বাংলাদেশ নিশ্চিত করতে পারবে সুপার এইট। সে জন্য যে সমীকরণ মিলতে হবে।
ধরুন বাংলাদেশ তাদের শেষ ম্যাচে নেপালের কাছে ৩৮ রানে হেরে গেলে, দিনের পরের ম্যাচে আগে ব্যাট করে নেদারল্যান্ডস ১৪০ রান করলে যদি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৩ রানের বড় ব্যবধানে জয় পায় তবে সুপার এইট খেলা নিশ্চিত হবে ডাচদের। নয়ত ডাচরা সে ম্যাচে জিতলেও নেপালের কাছে হেরে যাওয়ার পরও সুপার এইটে চলে যাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে নেপাল, আর নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে বিশ্বকাপের বিদায়ী ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা। এ ম্যাচে বাংলাদেশের ভাবনায় শুধুই জয়। এর আগে টি-টোয়েন্টি একবারই নেপালের বিপক্ষে লড়েছে বাংলাদেশ দল। ঘরের মাঠে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ৮ উইকেটের জয় পেয়েছিল টাইগাররা। নেপালের বিপক্ষে জয়ে এটি হবে বাংলাদেশের সেরা বিশ্বকাপ। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে কখনোই তিন ম্যাচে জেতা হয়নি টাইগারদের।
খুলনা গেজেট/এএজে