প্রয়াত স্কটিশ অভিনেতা শন কনারি। মোট সাতটি জেমস বন্ড স্পাই থ্রিলারে অভিনয় করেছেন তিনি। বয়স হয়েছিল ৯০।
শেষ বিদায়টা ‘জেমস বন্ডচিত’ নয়। বরং একেবারে নিঃশব্দে ঘুমের মধ্যেই বিদায় নিলেন ফ্যানেদের এক কালের প্রিয় বন্ড। শন কনারির পরিবার সূত্রে খবর, বেশ কিছু কাল ধরেই অসুস্থ ছিলেন স্কটিশ অভিনেতা। মৃত্যুকালে বাহামা দীপপুঞ্জে ছিলেন নবতিপর শন। সেখানেই মারা যান তিনি।
ব্রিটিশ সাংবাদিক এবং ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের গড়া চরিত্র জেমস বন্ডের ভূমিকায় সবচেয়ে প্রথম দেখা গিয়েছিল শন কনারিকে। ১৯৮৮ সালে তিনি ‘দ্য আনটাচেবল’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য সেরা পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে একাডেমি (অস্কার) পুরস্কার লাভ করেন।
এ ছাড়াও মেরিন, ইন্ডিয়ানা জোন্স অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড, দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর, ড্রাগনহার্ট, দ্য রক প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেতা।
গত শতকের ছয়ের দশকে রুপোলি পর্দার বন্ডের চরিত্র এক সময় তাঁর কেরিয়ারে তুমুল সাফল্য এনে দিয়েছিল। ১৯৬২ থেকে ’৮৩ পর্যন্ত একের পর এক ৭টি বন্ড-ফিল্মে দেখা গিয়েছিল শন কনারিকে। সে সময়কার ফ্যানেদের বিচারে সেরা ‘০০৭’ তিনিই।
শন কনারি অভিনীত জেমস বন্ড সিরিজের সিনেমাগুলো হলো- ড. নো (১৯৬২), ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ (১৯৬৩), গোল্ডফিঙ্গার (১৯৬৪), থান্ডারবল (১৯৬৫), ইউ অনলি লাইভ টুয়াইস (১৯৬৭), ডায়মন্ডস আর ফরএভার (১৯৭১) এবং নেভার সে নেভার এগেইন (১৯৮৩)। বন্ড সিরিজের তাঁর সাতটি চলচ্চিত্রই বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিল।
খুলনা গেজেট/কেএম