দ্বিতীয় ধাপে খুলনার দিঘলিয়া, ফুলতলা ও তেরখাদা উপজেলায় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৩৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ৯ জন প্রার্থী জামানত হারাচ্ছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা এ টি এম শামীম মাহমুদ জানান, কোনো প্রার্থী মোট প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পেলে তার জামানত বাজেয়াপ্ত করে নির্বাচন কমিশন। সে অনুযায়ী ৮ ভাগের এক ভাগ ভোট না পাওয়া প্রার্থীদের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনে মোট প্রদত্ত ভোট ৫৭ হাজার ৪৫১। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৪ জন। এর মধ্যে বিএনপির সদ্য বহিষ্কৃত নেতা গাজী মো. এনামুল হাচান মাসুম ১ হাজার ৭৩৭ ভোট ও আওয়ামী লীগের মো. জাকির হোসেন ২ হাজার ৯২৭ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
দিঘলিয়া উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত ভোট ৫৭ হাজার ৪৫৩। প্রার্থী ছিলেন মোট ৮ জন। এর মধ্যে গোবিন্দ মণ্ডল ৬ হাজার ২১৫ ভোট, ইমামুল ইসলাম ৫ হাজার ৫২৭ ভোট, মো. ইনামুল শেখ ৫ হাজার ৩৩৬ ভোট, মো. বজলুর রহমান ফকির ৩ হাজার ৯৯৯ ভোট ও মো. তহিদ মিয়া ৮৭১ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
দিঘলিয়া উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত ভোট ৫৭ হাজার ৪৪৯। প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। এর মধ্যে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মমতাজ শিরীন ৭ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন।
ফুলতলা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মোট প্রদত্ত ভোট ৫২ হাজার ৫৭৫। ৪ প্রার্থীর মধ্যে খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন ৬০ ভোট পেয়ে জামানত হারাচ্ছেন। তবে ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৩ প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ২ প্রার্থীর কেউ জামানত হারাচ্ছেন না।
তেরখাদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদের ২ প্রার্থী, ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৪ প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদের ৪ প্রার্থীর কেউই জামানত হারাচ্ছেন না।
খুলনা গেজেট/এএজে