আজ মঙ্গলবার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের ১৫৬ উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকাল ৮টা থেকে সারাদেশে একযোগে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। এই ধাপে ২৪ উপজেলায় ইভিএমে ভোট হবে। বাকিগুলো হবে ব্যালটে। উপজেলা নির্বাচনের এই ধাপে এরই মধ্যে ২২ জন একক প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের মধ্যে সাতজন চেয়ারম্যান, আটজন ভাইস চেয়ারম্যান ও সাত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জন করছে। তাই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক বরাদ্দ না দিয়ে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু স্থানীয় এমপি ও মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রভাব বিস্তারের অনেক অভিযোগ মিলেছে। ফলে প্রথম ধাপের মতোই এই ধাপের ভোটেও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ইসি সচিবালয়ের কর্মকর্তারা জানান, দ্বিতীয় ধাপে মোট ভোটকেন্দ্র ১৩ হাজার ১৬টি, আর ভোটকক্ষ ৯১ হাজার ৫৮৯টি। গতকাল ৬৯৭ কেন্দ্রে ব্যালট পাঠানো হয়েছে। আজ যাবে ১২ হাজার ৩২৩ কেন্দ্রে। এই ধাপে মোট ভোটার ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ৭৪৮ জন।
গতকাল রাত ১২টা থেকে আজ রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত নৌকা (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ছাড়া) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ইসি। তা ছাড়া সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণের দু’দিন আগে থেকে ভোট গ্রহণের পরদিন মধ্যরাত পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
এ নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবি সদস্য মোতায়েন থাকবে ৪৫৮ প্লাটুন। ভোটকেন্দ্রে পুলিশ সদস্য থাকবেন ৪৭ হাজার ৮২৯ জন। ভ্রাম্যমাণ ফোর্স হিসেবে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন ১৩ হাজার ৪৯০ জন ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবেন ৫ হাজার ৫৬৭ জন পুলিশ সদস্য। মোট পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবেন ৮৯ হাজার ৮৬৩ জন। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ২ হাজার ৭৬৮ জন র্যাব সদস্যও মোতায়েন থাকবেন। ভোটকেন্দ্র, মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে আনসার সদস্য মোতায়েন থাকবেন ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন।
নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর গতকাল ঢাকায় বলেছেন, ভোটের হার বেশি হলে ইসি খুশি। কিন্তু না হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।
খুলনা গেজেট/এইচ