ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকাল নয়টার দিকে উপজেলার পোলভাতুড়িয়া গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই গ্রামের বর্তমান ইউপি সদস্য কুরবান আলী ও সাবেক সদস্য কাজি মশিউর রহমানের সমর্থকদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। কয়েকদিন আগে মাঠের ফসলের ক্ষেতে বৃষ্টির পানি বের করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এরই জেরে শনিবার (১৮ মে) সকালে মাঠে কুরবান মেম্বরের দুই ভাই বিল্লাল ও মিঠুর সাথে প্রতিপক্ষ মশিউর রহমানের সমর্থক হাসেম আলীর কথাকাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
আহতের মধ্যে একই গ্রামের হাসু (৪৫), কুরবান অলী (৩৫), রাহুল (১৭), আবুৃ তালেব (৫০), রেশমা খাতুন (৩০), পান্নু (১৯), সাহেব আলী (৫০) ও আব্দুল গনি অন্যতম। এর মধ্যে হাসুর অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। বাকিরা ঝিনাইদহ সদর ও হরিণাকুন্ডু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ ১০ জনকে আটক করেছে।
কাপাশহাটিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু জানান, কয়েকদিন আগে তুচ্ছ ঘটনায় সামান্য সংঘর্ষ হয়েছিল। তারই জেরে এই সংঘর্ষ হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মো. জিয়াউর রহমান বলেন, কয়েকদিন আগের সংঘর্ষের বিষয়ে শনিবার উভয়পক্ষের মধ্যে শালিসি বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই সকালে মশিউর মেম্বরের পক্ষের হাসেম আলী মাঠে ধান আনতে গেলে তাকে প্রতিপক্ষ কুরবান মেম্বরের দুই ভাই বিল্লাল ও মিঠু মারধর করে। এ নিয়ে পরে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। বর্তমানে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/এনএম