খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ পৌষ, ১৪৩১ | ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুতে ২ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ছাড়াল এক লাখ ১ হাজার
  জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ডুবে তিন ভাইয়ের মৃত্যু
  সচিবালয়ে আগুনের তদন্ত চলমান থাকায় মানুষের চলাচল সীমিত করা হয়েছে, আলামত যেন নষ্ট না হয়, ক্রাইম সীন রক্ষায় এমন সিদ্ধান্ত : প্রেস সচিব
  শেরপুরে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ৬

কেশবপুরের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক, যশোর

যশোরের কেশবপুর উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং ওসিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। থানায় ওসির রুমে আটকে রেখে চাঁদা দাবির অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করেছেন কেশবপুরের মধ্যকুল গ্রামের নুর মোহাম্মদ সরদারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, কেশবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহির উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ও আলতাপোল গ্রামের সেলিমুজ্জামান আসাদ। বিচারক জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সালমান আহমেদ শুভ অভিযোগ আমলে নিয়ে পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার মাধ্যমে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ হক।

মামলায় বলা হয়েছে, জাহাঙ্গীর আলম একজন মৎস্য ঘের ব্যবসায়ী। তিনি ২০২৪ সালের ২১ জানুয়ারি কেশবপুরের মধ্যকুল মৌজায় ৪শ’ ৫০ বিঘা জমি ২শ’ ১৪ জন মালিকের কাছ থেকে এক কোটি আশি লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচ বছরের জন্য লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন। নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজ ওই জমির গা ঘেঁষে ১শ’ কৃষকের কাছ থেকে জমি লিজ নিয়ে ঘের করার চুক্তি করেন। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে মফিজ ও আসাদ বাদী জাহাঙ্গীরের লিজ নেয়া জমি তাদের কাছে হস্তান্তরের জন্য হুমকি দিয়ে আসছেন। এ নিয়ে বাদী কেশবপুর থানায় জিডি করতে গেলে থানা পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

সর্বশেষ গত ১ মে কেশবপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম ও আবুল হোসেন জোরপূর্বক জাহাঙ্গীরকে বাড়ি থেকে থানায় ওসির রুমে নিয়ে যান। তিনি সেখানে যেয়ে দেখেন তিন আসামিই উপস্থিত রয়েছেন। এসময় ওসি জহির উদ্দীন বাদীকে তার জমি মফিজ ও আসাদকে হস্তান্তর করতে বলেন। এ কথায় তিনি রাজি না হলে ১৫ দিনের মধ্যে জমি হস্তান্তর করার কথা বলেন। না করলে গুলি চালিয়ে হত্যা করে ক্রস ফায়ারের নামে চালিয়ে দেয়া হবে বলে হুমকি দেন। শেষমেষ তাকে ধাক্কা মেরে থানা থেকে বের করে দেয়া হয় বলে বাদী মামলায় উল্লেখ করেন।

এ বিষয়ে কেশবপুর থানার ওসি জহির উদ্দিনের কাছে জানতে তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান মফিজের মোবাইলে ফোন করলে তিনি বলেন, নেটওয়ার্কের সমস্যার মধ্যে রয়েছি। এ বিষয়ে আপনার সাথে পরে কথা বলবো বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!