খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজশাহীতে বাসচাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহীর নিহত
  ফ্যাসিবাদের শেকড় অনেক দূর ছড়িয়ে গেছে : আইন উপদেষ্টা

যুদ্ধবিরতি আলোচনার আগে আবারও গাজায় ইসরায়েলি হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের বিমান হামলায় আরও সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতরা সবাই একই পরিবারের সদস্য। হামলায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন।

মিসরে যুদ্ধবিরতি আলোচনার আগে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হতাহতের এই ঘটনা ঘটল। বুধবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরে বুধবার ভোরে ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত সাতজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় একটি হাসপাতাল জানিয়েছে।

আল-আহলি হাসপাতাল বলেছে, বিধ্বস্ত এই উত্তরাঞ্চলীয় শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্টে হামলায় একই পরিবারের সাত সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া বুধবার প্রত্যক্ষদর্শীরা অবরুদ্ধ এই উপত্যকার অন্য আরও স্থানে, বিশেষ করে রাফার আশপাশেও হামলার খবর দিয়েছে।

এদিকে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের চলমান আক্রমণে এ পর্যন্ত নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা বেড়ে অন্তত ৩৪ হাজার ৭৮৯ জনে পৌঁছেছে।

মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ইসরায়েলি দখলদার (বাহিনী) গাজা উপত্যকায় পরিবারগুলোর ওপর ছয়টি গণহত্যা চালিয়েছে এবং এতে করে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৪ জন শহীদ এবং আরও ৯৬ জন আহত হয়েছেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গত সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা এই হামলায় আরও ৭৮ হাজার ২০৪ জন আহত হয়েছেন। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়ে আছেন এবং উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।

মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!