অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুইবারের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক রিকি পন্টিং। তার বর্ণাঢ্য আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ হয় ২০১২ সালে। অথচ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করা ব্যাটও নাকি এখনও তার সংগ্রহে রয়েছে। সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট নিজের সংগ্রহে থাকার কথা জানান পন্টিং। প্রতিটি ব্যাটের সঙ্গে সাবেক এই অজি কিংবদন্তি ব্যাটারের রয়েছে বিশেষ স্মৃতি, লেখা আছে বিশেষ ম্যাচে তার করা রান ও প্রতিপক্ষের নামও!
পন্টিং বর্তমানে আইপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজি দিল্লি ক্যাপিটালসের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সুবাদে দলটির মিডিয়া বিভাগকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানান ঋষভ পান্তদের এই কোচ। পরে একই বিষয় তোলা হয় দিল্লি ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালক ও সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির কাছে। দেশটির ক্রিকেটে মহারাজাখ্যাত সাবেক এই বিসিসিআই সভাপতিও নাকি ১৩ বছর বয়সের একটি ব্যাট সংগ্রহ রেখেছেন।
পন্টিং পুরো আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৭১টি সেঞ্চুরি করেছেন, এরমধ্যে ৪১টি এসেছে টেস্টে। তিনি জানান, ‘বিশ্বাস করুন আর নাই করুন, আমি প্রথম যে ব্যাট দিয়ে খেলেছি এখনও বাড়িতে সেটি সংগ্রহে আছে। এমনকি ব্যাটের গায়ে থাকা স্টিকারসহ প্রতিটি জিনিসই আছে অক্ষত অবস্থায়। এভাবে সবমিলিয়ে এক হাজার ব্যাট আছে আমার কাছে, কিছু কিছু ব্যাট একটা আরেকটার চেয়ে বেশি স্পেশাল।’
২০০৩ বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ম্যাচটিতে ১৪০ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন পন্টিং। এক হাতে ভারতের বিশ্বকাপ স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দেওয়া সেই ব্যাটটি সম্পর্কেও জানতে চাওয়া হয় পন্টিংয়ের কাছে। তিনি জানান, ‘হ্যাঁ অবশ্যই (সংগ্রহে আছে)। তবে এটি এমন নয় যে বাসায় প্রদর্শনের জন্য রেখে দিয়েছি এসব, সবগুলো গ্যারেজে রাখা আছে।’ এমনকি আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি করা ব্যাটগুলোতে রান এবং প্রতিপক্ষ কারা ছিল সেটিও লিখে রেখেছেন পন্টিং। একপর্যায়ে একইরকম স্মৃতি সংরক্ষণের কথা জানান গাঙ্গুলিও।
তিনি জানান, ‘আমার যতটুকু স্মরণে আসে, প্রথম যখন ১৩ বছর বয়সে খেলেছি, সেই ব্যাটটি আছে আমার কাছে। কারণ সেই ব্যাট দিয়ে প্রথম বল উড়িয়ে মেরেছিলাম, যা নিয়ে আমি অনেক খুশি।’
ক্রিকেট ব্যাট নিয়ে স্মৃতিকথা শুনিয়েছেন দিল্লির হয়ে খেলা অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নারও। নিজের জন্মদিনে আঙ্কেলের কাছ থেকে পাওয়া ব্যাট সংগ্রহে রাখার কথা জানিয়ে ওয়ার্নার বলেন, ‘আমার জন্মদিনে প্রথমবারের মতো আমার আঙ্কেল একটি ব্যাট উপহার দিয়েছিলেন। সেটি কখনোই আমি নিজের কাছে রাখতে ভুলি না, এমনকি সেটি আমার বিছানার পাশেই থাকে।’
খুলনা গেজেট/এএজে