শতভাগ কারখানায় বেতন বোনাস পরিশোধিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএর সভাপতি। বুধবার বিজিএমইএর উত্তরা কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি এস এম মান্নান।
তিনি বলেন, এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন। আমাদের পোশাক শিল্প একটি সংকটময় মুহূর্ত পার করছে। গত ৫ বছরে আমাদের উৎপাদন খরচ বেড়েছে প্রায় ৫০%, ব্যাংকের সুদ এখন ১৩ থেকে ১৪ শতাংশে। জানুয়ারি মাস থেকে মজুরি বেড়েছে ৫৬ শতাংশ যা, অনেক কারখানার জন্যই কঠিন হয়ে পড়েছে। কারণ, মজুরি বাড়লেও আমরা আমাদের পণ্যের সঠিক মূল্য পাচ্ছি না। বরং পণ্যের দরপতন হয়েছে ৬ থেকে ১৮ শতাংশ। এ অবস্থায় কারখানাগুলো শুধুমাত্র টিকে থাকার জন্য মূল্য ছাড় দিয়ে অর্ডার একসেপ্ট করতে বাধ্য হচ্ছে। আর এবারের ঈদে আমাদের নতুন মজুরি কাঠামো অনুযায়ী বোনাস দিতে হচ্ছে, যেটি অনেক কারখানার জন্য একটি কঠিন পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তবে শত প্রতিকূলতা সত্বেও উদ্যোক্তারা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন ঈদের পূর্বে বেতন-বোনাস পরিশোধ করা হয়েছে। এজন্য অনেকে ব্যক্তিগতভাবে ত্যাগ স্বীকারও করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঈদের আগে শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠভাবে বেতন বোনাস পান, সে লক্ষ্যে সরকারের সঙ্গে মিলে আমরা অগ্রীম প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, শিল্প পুলিশ, বিজিএমইএর নিজস্ব সূত্রসহ বিভিন্ন সূত্র থেকে স্পর্শকাতর প্রায় ৬০০টি কারখানার তালিকা পেয়েছিলাম। সে অনুযায়ী, শতভাগ বেতন-ভাতা নিশ্চিত করার জন্য আমরা ঈদের একমাস আগে থেকেই এসব কারখানা মনিটরিং করা শুরু করি। সমগ্র বাংলাদেশে আমাদের ৫০ জনের ২২টি টিম কারখানাগুলো মনিটরিং করে। মনিটরিং করার সময় ২৫টি কারখানায় শ্রম-সংক্রান্ত কিছু সমস্যা পাওয়া গিয়েছিল, যা সমাধান করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে শতভাগ কারখানা মার্চ মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করেছে। আমাদের জানামতে বেতন বা বোনাস পায়নি, এরকম একজন শ্রমিকও নেই। সব কারখানা শ্রমিকদের ছুটি দিয়েছে। তারা বেতন ও বোনাস নিয়ে বাড়ি গেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএর সভাপতি বলেন, সরকারকে অনুরোধ করবো, যেসব পোশাক কারখানা বিজিএমইএ অথবা বিকেএমইর সদস্য নয়, তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার জন্য যাতে এসব কারখানাকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।