ঢাকার সাভারের হেমায়েতপুরে তেলের লরি উল্টে গিয়ে পাঁচটি গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় দগ্ধ আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার ভোরে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে জোড়পুল এলাকায় তানজিব কোয়েল ফ্যাক্টরির সামনের ওই দুর্ঘটনায় এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চারজনে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে হেলাল হাওলাদার (৩০) ও রাত সোয়া ১টার দিকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মো. সাকিব (২৪) নামের আরেকজন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম জানান, হেলালের ও সাকিব দুজনের শরীরেরই ১০০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
সাকিবের ভাই মোহাম্মদ নাঈম বলেন, আমার ভাই ট্রাক চালকের সহকারী ছিল। সে বরগুনা থেকে ট্রাকে তরমুজ বহন করে গাজীপুর আসার পথে এ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। আমাদের বাড়ি বরগুনা সদর উপজেলায়। আমাদের বাবার নাম আহমেদ আলী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সাকিব ছিল বড়।
প্রত্যক্ষদর্শী মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, সোমবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তেলের ট্যাংকারটি আইল্যান্ডের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে পাশের তরমুজের ট্রাকসহ অন্য চারটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়।
ঘটনাস্থলে মারা যান একজন। আর হাসপাতালে নেয়ার পর মৃত্যু হয় আরেকজনের। দগ্ধ ৯ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসা হয়েছিল।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, হাসপাতালে থাকা দগ্ধদের মধ্যে ১০ বছর বয়সী শিশু মিমসহ দুজনের শ্বাসনালী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দগ্ধ অন্যদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
খুলনা গেজেট/এনএম