নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২০০ রানও করতে পারেনি বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কা চাইলে বাংলাদেশকে ফলো-অন করাতে পারতো। তবে তা না করে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সফকারীরা। চা বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে একশর আগেই ৬ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে ইতোমধ্যেই তাদের লিড সাড়ে চারশ পেরিয়েছে। তৃতীয় দিনশেষে বাংলাদেশের থেকে এগিয়ে লঙ্কানরা।
তৃতীয় দিনশেষে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ১০২ রান করেছে শ্রীলঙ্কা। সবমিলিয়ে ম্যাচে তাদের লিড এখন ৪৫৫ রানের। হাতে আছে আরও ৪ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ৩৫৩ রানের লিড পেয়েও দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ব্যাটিংয়ে নামে শ্রীলঙ্কা। হাতে বড় লিড থাকায় স্বাভাবিকভাবেই শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলেছে লঙ্কানরা। সেই সুযোগ নিয়েছেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে হাসান মাহমুদ। এই পেসার এদিন শেষ বিকেলে একাই তুলে নেন ৪ উইকেট।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে দিমুথ করুনারত্নেকে বোল্ড করে শুরুটা করেন হাসান। এরপর দীনেশ চান্দিমাল, নিশান মাদুশঙ্কা ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরান এই পেসার। তাছাড়া আরেক পেসার খালেদ আহমেদও তুলে নেনে ২ উইকেট। সবমিলিয়ে ৮৯ রানের মধ্যেই ৬ উইকেট হারায় লঙ্কানরা।
এর আগে আজ তৃতীয় দিনে ১ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। এদিন ব্যাট হাতে সকালটা খারাপ কাটেনি টিম টাইগার্সের। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার জাকির হাসান নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম মিলে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেছেন। যদিও ব্যক্তিগত ফিফটির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি জাকির।
ভিশ্ব ফার্নান্দোর দারুণ এক ডেলিভারিতে ফেরেন জাকির। ভেতরের দিকে ঢোকা বল জাকিরের রক্ষণ ভেদ করে উপড়ে ফেলেছে লেগ স্টাম্প। ৮ চারে ১০৪ বলে ৫৪ রান করে ফিরলেন জাকির। তার বিদায়ে ভাঙে ১২২ বলে ৪৯ রানের জুটি।
জাকিরের বিদায়ের পর যেন পথ হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশও। দলীয় ৯৬ রান থেকে ৯ রান যোগ করতেই আরও দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকরা। একে একে ফিরেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত এবং শেষমেশ নাইটওয়াচম্যান তাইজুলও।
তাইজুল ইসলামের আউটের পর মুমিনুলের সঙ্গে যোগ দেন সাকিব আল হাসান। এই দুজনে কিছুটা সময় নিয়ে খেলতে চাইলেও সেই চেষ্টা সফল হয়নি তাদের। সাকিব অবশ্য এমন আউটের পেছনে ভাগ্যকে দোষ দিতেই পারেন। অনেকটা সুইং করেছিল বল। ব্যাটে-বলে সংযোগ হয়নি। বল প্যাডে লাগার পর আম্পায়ার লঙ্কানদের আবেদনে সাড়া দিয়ে আউটের সংকেত দেন। সাকিব রিভিউ নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয় তাকে।
দুই বল পরেই আসিথা ফার্নান্দো আবার আঘাত হানেন। এবার আউট হয়েছেন লিটন দাস। উইকেটের পেছনে সহজ ক্যাচ নিয়েছেন কুশাল মেন্ডিস। ইনিংস বড় করা হয়নি শাহাদাত দীপুরও। ৮ রানে আউট হয়েছেন লাহিরু কুমারার বলে। বল ব্যাটের কানায় লেগে গেছে স্লিপে। নিচু হয়ে সেটি নিয়েছেন কামিন্দু মেন্ডিস। মিরাজ এসে জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি। প্রভাত জয়সুরিয়ার বলে এলবিডব্লিউর শিকার এই অলরাউন্ডার।
একদিকে টিকে ছিলেন মুমিনুল হক। আসিথা ফার্নান্ডোর ফুললেংথের বলে এলবিডব্লু হয়েছেন তিনি। ৮৪ বলে ৩৩ রান করে ফিরেছেন তিনি। সাকিবের মতোই দূর্ভাগ্য তার। আম্পায়ার্স কল হওয়াতে ফিরতে হয়েছে এই ব্যাটারকে। আউট হওয়ার আগে অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪ হাজার রান পূরণ করেছেন তিনি। শেষ উইকেট হিসেবে আউট হয়েছেন খালেদ। আসিথার চতুর্থ শিকার তিনি। বোল্ড হয়েছেন ১ রান করে।
খুলনা গেজেট/ এএজে