খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ১৯ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম গ্রেপ্তার
  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১০৮৩
  ১৬ ডিসেম্বর ঘিরে কোনো ধরণের হামলার শঙ্কা নেই : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জিম্মি এমভি আবদুল্লাহ

নাবিকদের ছাগলের তেহারি বানিয়ে খাওয়াল জলদস্যুরা

গেজেট ডেস্ক

বাংলাদেশি ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজকে জিম্মি করা সোমালি জলদস্যুদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। নাবিকদের সঙ্গে শুরুর দিকে কঠোর আচরণ করলেও এখন তারা কিছুটা নমনীয়। নাবিকদের সঙ্গে আর দুর্ব্যবহার করছে না তারা। নাবিকদের নিজ নিজ কেবিনে থাকতে দিচ্ছে। তাদের খাবার ও পানি নিয়ে যে দুশ্চিন্তা ছিল কেটে গেছে। উপকূল থেকে খাবার আনছে জলদস্যুরা। সোমালিয়ার ছাগল দিয়ে তেহারি বানিয়ে খাচ্ছে একত্রে। জাহাজটির মালিকপক্ষের সঙ্গে মুক্তিপণের আলোচনা ফলপ্রসূভাবে চলতে থাকায় জলদস্যুদের আচরণে এমন পরিবর্তন এসেছে বলে মনে করছেন নৌ খাতের অভিজ্ঞজনরা।

এর আগে জলদস্যুরা একই মালিকের এমভি জাহান মণি নামের আরেকটি জাহাজ জিম্মি করেছিল ১৩ বছর আগে। তখনও মুক্তিপণের আলোচনা শুরু হওয়ার পর জলদস্যুরা ভালো আচরণ করেছিল জিম্মিদের সঙ্গে। জাহান মণি জাহাজে জিম্মি হওয়া নাবিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘মুক্তিপণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হতে থাকলে ফুরফুরে মেজাজে থাকে জলদস্যুরা। তখন তাদের আচরণেও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে। আমরা ৯৯ দিন পর মুক্তি পেয়েছিলাম। কিন্তু শেষ দিকে আমাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে তারা। এখনও তাই ঘটছে এমভি আবদুল্লাহর সঙ্গে।’

জাহাজটির মালিকপক্ষ বলছে, প্রতিদিন তাদের সঙ্গে নাবিকদের কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে জলদস্যুরা। মালিকপক্ষ তাদের সঙ্গে আলোচনাও অব্যাহত রেখেছে। তারা আশা করছেন, আগের চেয়ে দ্রুততম সময়ে ২৩ নাবিককে জাহাজসহ মুক্ত করতে পারবে তারা।

গত ১২ মার্চ জাহাজটি সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়ে। তখন সেটিতে ২৫ দিনের খাবার ও পানি মজুত ছিল। এর পর থেকে সেই খাবার ও পানিতে ভাগ বসিয়েছে জলদস্যুরা। শিগগির খাবার ও পানির মজুত শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন নাবিকরা। তবে এগুলো ফুরিয়ে গেলে কী হবে– তা নিয়ে জলদস্যুদের সঙ্গে আলাপ করেছে জাহাজটির মালিকপক্ষ। জলদস্যুরা আশ্বাস দিয়েছে, খাবার ও পানির কোনো সংকট হবে না জাহাজে। প্রয়োজন মতো এটির ব্যবস্থা করবে তারা।

জানতে চাইলে জাহাজের মালিকপক্ষের মুখপাত্র ও কেএসআরএমের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘নাবিকদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত যোগাযোগ হচ্ছে। জিম্মি থাকলেও নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। এখন জাহাজে যে খাবার ও পানি আছে তা একসময় শেষ হয়ে গেলেও উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। জলদস্যুরা উপকূল থেকে এনে প্রয়োজন মেটাবে বলে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।’

বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ক্যাপ্টেন আনান চৌধুরী বলেন, ‘জলদস্যুরা মুক্তিপণের জন্য কখনও কখনও খারাপ ব্যবহার করে। মুক্তিপণের ব্যাপারে নিশ্চিত হলে তারা ভালো ব্যবহার করতে থাকে। আলোচনা চলতে থাকায় দস্যুদের আচরণে পরিবর্তন এসেছে।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!