রাশিয়ায় একটি কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের ভয়াবহ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ৪০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও শতাধিক মানুষ। শুক্রবার (২২ মার্চ) রাতে মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে একটি কনসার্টে এই হামলা ও হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এদিকে এই হামলাকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে আখ্যায়িত করেছে রাশিয়া। শনিবার (২৩ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কোর কাছে ক্রোকাস সিটি হলে একটি কনসার্টে ছদ্মবেশী পোশাক পরা পাঁচজন বন্দুকধারী স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে গুলিবর্ষণ করার পর কমপক্ষে ৪০ জন নিহত এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
সর্বশেষ এই হামলাটি গত কয়েক বছরের মধ্যে রাশিয়ায় হওয়া সবচেয়ে খারাপ হামলার মধ্যে একটি।
রয়টার্সের ছবি এবং ভিডিওতে দেখা গেছে, হামলার পর আগুনের শিখা আকাশে লাফিয়ে উঠছে এবং অনুষ্ঠানস্থলের ওপরে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠছে।
রাশিয়ান মিডিয়া ঘটনাস্থলে দ্বিতীয় বিস্ফোরণের খবর দিয়েছে এবং এমন খবরও পাওয়া গেছে যে, কিছু বন্দুকধারী ভবনের কোথাও ব্যারিকেড দিয়ে নিজেদের আটকে রেখেছে। ‘পিকনিক’ নামের ব্যান্ডের একটি কনসার্টে এই বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটে বলে মনে করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে বলেছেন, ‘হঠাৎ আমাদের পেছনে গুলির শব্দ শোনা গেল। ব্যাপক গুলিবর্ষণ – আমি জানি না ঠিক কি।’
ওই প্রত্যক্ষদর্শী আরও বলেন, ‘গুলিবর্ষণ শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই ব্যাপক হুড়োহুড়ি শুরু হয়, সবাই দৌড়ে এসকেলেটরের দিকে চলে যায়। এসময় সবাই চিৎকার করছিল, সবাই দৌড়াচ্ছিল।’
রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা তাস রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)-এর বরাত দিয়ে বলেছে, হামলায় ৪০ জন নিহত এবং আরও ১০০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। এফএসবি জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অবশ্য বন্দুকধারীরা কারা তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। রাশিয়ার বার্তা সংস্থাগুলো জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ৭০ জন অ্যাম্বুলেন্স ক্রু পাঠানো হয়েছে।
মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন বলেছেন, আজকে শপিং সেন্টার ক্রোকাস সিটিতে এক ভয়ানক ট্র্যাজেডি ঘটেছে। তিনি বলেছেন, ‘আমি নিহতদের প্রিয়জনদের জন্য দুঃখিত।’
রয়টার্স বলছে, রাশিয়া বিমানবন্দর এবং স্টেশনগুলোর পাশাপাশি ২ কোটিরও বেশি লোকের বিশাল শহুরে এলাকা তথা রাজধানী মস্কোজুড়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখনও জনসমক্ষে এই হামলা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেননি।
খুলনা গেজেট/এইচ