অরুণাচল নিয়ে গত কয়েক দশক ধরে দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনের মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই এ ইস্যুতে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অরুণাচলকে ভারতীয় রাজ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটির সরকার।
এ দিন ওয়াশিংটনে এক ব্রিফিংয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রধান উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘অরুণাচলকে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে সেখানে সীমান্ত পেরিয়ে অন্য কোনো রাষ্ট্রের সামরিক বা বেসামরিক অনুপ্রবেশ, স্থাপানা নির্মাণ ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে অরুণাচলকে নিজেদের এলাকা বলে প্রচারের এক তরফা চেষ্টারও তীব্র বিরোধিতাও করছে যুক্তরাষ্ট্র।’
হিমালয় পার্বত্য অঞ্চলের পশ্চিমাংশের এক পাশে চীনের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল তিব্বত, অন্যপাশে অরুণাচল রাজ্য। তিব্বত-অরুণাচল সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৩ হাজার কিলোমিটার।
গত শতকের ষাটের দশক অরুণাচলকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে আসছে চীন। এ ইস্যুতে পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনের দেশের মধ্যে প্রথম যুদ্ধটি হয়েছে ১৯৬২ সালে, সর্বশেষ যুদ্ধ হয়েছে ২০২০ সালে। সর্বশেষ যুদ্ধে ২০ জন ভারতীয় ও ৪ জন চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন।
তারপর আর যুদ্ধে না জড়ালেও অরুণাচল-তিব্বত সীমান্ত এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে দুই দেশই।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এবং দেশটির সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শ্যাং জিয়াওগ্যাং এক সাক্ষাৎকারে অরুণাচলকে তিব্বতের অংশ বলে দাবি করে বলেছিলেন, ‘ওই অঞ্চলটি তিব্বতের। ভারত অবৈধভাবে সেটি দখল করে নাম দিয়ে অরুণাচল প্রদেশ। বেইজিং ভারতের এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধী এবং ওই অঞ্চলকে কখনও ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে স্বীকৃতি না দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।’
শ্যাং জিয়াওগ্যাংয়ের এই মন্তব্যের কয়েক দিনের মধ্যেই এ ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন করে বক্তব্য দিলো মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সূত্র : রয়টার্স, এনডিটিভি।
খুলনা গেজেট/এনএম